অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


বোরহানউদ্দিনে হামলা মারধর বসত ঘর ভেঙ্গে দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ


বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ই জুন ২০২২ রাত ১২:০৭

remove_red_eye

২৯০

 ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় অন্যের জমি দখল নিতে বসত ঘর ভেঙে দিয়ে পাকা ভবন নির্মান অভিযোগ ওঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্রের বির¤œদ্ধে। এ নিয়ে আদালতে মামলা দিলেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে অনত্র বসবাস করছেন ওই ঘরের বাসিন্দারা।

 বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মুলাইপত্তন গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাত বেগম বৃহস্পতিবার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, টবগী ইউনিয়নের তাঁর শ^শুর আনোয়ার হোসেন ও চাচা শ^শুর মো. এছহাকের এক একর ৮৩ শতাংশ পৈত্রিক জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন। ওই জমিতে তিনটি বসতঘর, পুকুর, একটি বাগান রয়েছে। বাকী জমি চাষাবাদ করছেন তাঁরা। জমিতে থাকা একটি ঘরে জান্নাত বেগম স্বামী ও সšত্মানদের নিয়ে থাকেন। আরেকটিতে তাঁর ননদ জোসনা বেগম এবং অপরদিকে চাচা শ^শুড়ের ছেলে মো. জাকির হোসেন বসবাস করছেন। তাঁর স্বামী চট্টগ্রামে চাকরি করায় সে ওই বসতঘরে সšত্মানদের নিয়ে থাকেন।


সাম্প্রতিক সময়ে তাদের পাশ^বর্তী মো. নোয়াব মিয়া ওই জমি দখল করার পায়তারা করে আসছে। গত ১২মে সকাল ১০টার দিকে লোকজন নিয়ে নোয়াব মিয়া ও তার ছেলেরা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সাবইকে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুকুরের প্রায় ২লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। পরের দিন ১৩মে সকালে আবারও তাদের বাগানে প্রবেশ করে প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন ধরনের গাছ কেটে নিয়ে যায়। এরপর ১৮মে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ও তাঁর দুই মেয়ে সুমাইয়া আক্তার(১৫) ও তামান্না(১১) এর চুল ধরে বসতঘর থেকে বের করে বাড়িব উঠানে এনে মারধর করে। এসময় তাঁরা ডাকচিৎকার করলে হামলাকারীরা অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে হত্যার হুমকী দিয়ে তাদের বসতঘর ভাঙচুর করে ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
জান্নাত আরো অভিযোগ করে বলেন, গত ১২মে ও ১৩মের ঘটনার পরে তারা ভয়ে থানায় অভিযোগ করেননি। কিন্তু ১৮মের ঘটনায় বাধ্য হয়ে তাঁরা ওই দিন সন্ধ্যায় বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে নোয়াব মিয়া ও তার ছেলেদের বির¤œদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশের তেমন কোনো পদÍেগপ না নেয়ায় ঘটনার ৪দিন পর ভোলার আদালতে নোয়াব মিয়া ও তাঁর ছেলেদের বির¤œদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নোয়াব মিয়ার নেতৃত্বে তাঁর ছেলেরা জান্নাত বেগমের বসতঘরের জমিতে ইট নিয়ে তিন তলা পাকা ভবন নির্মাণ শুর¤œ করেন। এ ঘটনায় তাঁরা ভয়ে বাঁধা দিতেও সাহস পাচ্ছেনা। তাই জান্নাত বেগম তাঁর দুই মেয়ে ও একটি ছেলে সšত্মান নিয়ে এখন বাবার বাড়িতেই রয়েছেন। নোয়াব মিয়া ও তাঁর ছেলেদের ভয়ে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে যেতে পারছেন না। এ ঘটনায় তাঁরা সঠিক বিচার দাবি করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নোয়াব মিয়ার ছেলে মো. ফিরোজ জমি তাদের দাবি করে বলেন, এ জমি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৫মে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উভয় পÍেগর শালিসদার ছিলেন। সেখানে কাগজপত্র দেখে শালিসদারগন আমাদের পÍগ রায় দিয়েছে।
 বোরহানউদ্দিন থানার পরিদর্শক (তদšত্ম) মো. আব্দুল¯œাহ আল মামুন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদšত্ম চলছে।