অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে শিক্ষকদের সম্মানী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮ই জুন ২০২২ রাত ১০:৫৫

remove_red_eye

২৯৭

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের (৬৪ জেলা) কার্যক্রমে শিক্ষক সম্মানী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই মাসের সম্মানী ৪৮০০ টাকা বিতরণের সময় প্রতি শিক্ষক থেকে কেটে রাখা হয় ৮০০ টাকা। এ ছাড়া টাকা বিতরণে আগে ৬শত শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করেন প্রোগ্রাম অফিসার সাইদুর রহমান শাহিন।
সোম ও মঙ্গলবার প্রকল্পের ৬শত শিক্ষকের কাছ থেকে ১৩শত টাকা হিসাবে প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা আদায় করেন বিতরনকারীরা। শিক্ষকদের তোপের মুখে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও টাকা কম নিতে বাধ্য হন শিক্ষকরা।

সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রকল্পের আওতায় নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তজুমদ্দিন উপজেলায় ৩০০ স্কুল কেন্দ্রে ৬০০ শিক্ষক নিযুক্ত করে কার্যক্রম হাতে নেয় সরকার। কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ভোলা সেবা সংঘ নামের একটি এনজিও। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৩০ জন পুরুষ ও ৩০ জন নারী পৃথক সময়ে শিক্ষার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। এসব কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের তদারকী করতে ১৫ জন সুপারভাইজার ও একজন প্রোগ্রাম অফিসারও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগকৃতদের বেতন ও সম্মানীসহ শিক্ষা উপকরণ ও কেন্দ্রের ব্যয় নির্বাহ করতে এনজিওকে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। ইতিমধ্যে কেন্দ্র চালু না হলেও প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসারের সহায়তায় বিভিন্ন খাতের প্রায় সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেছে বাস্তবায়নকারী এনজিও ভোলা সেবা সংঘ।

শিক্ষকদের সম্মানী বিতরনে অনিয়মের বিষয়ে প্রোগ্রাম অফিসার সাইদুর রহমান শাহিনের কাছে জানতে চাইলে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।পুলিশ মোতায়েন বিষয়ে জানতে চাইলে অফিসার ইন-চার্জ এসএম জিয়াউল হক জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার মরিয়ম বেগমের কাছে মৌলিক প্রকল্পের টাকা বিতরন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রেসক্লাব সভাপতিকে বলেন, টাকা কম দেয়ার বিষয়ে কয়েকজন তাকে ফোনে জানিয়েছেন। খোজ নিয়ে জানানোর জন্য সহকারী শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।