অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ই জুন ২০২২ রাত ১২:৪৭

remove_red_eye

৫৩০

মোঃ ইসমাইল II নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোলায় সদ্য সমাাপ্ত হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (০৬জুন) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী পরীক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধন শেষে তাঁরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।


মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ জুন শুক্রবার ভোলা জেলায় ২৫টি কেন্দ্রে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষায় জেলায় ২৪৪টি শূণ্যপদের বিপরীতে ১৫ হাজার ৬৩৭জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অনুষ্ঠিত হওয়া এ নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র নানাবিধ অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়েছে। পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে সকল প্রকার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেকেই অনৈতিকভাবে হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করেছে। এছাড়াও হলে ঘড়ি নিয়ে নিষেধ ধাকলেও অনেক কেন্দ্রে হলরুমে ঘড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ওএমআর শিট পুরণের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ থাকলেও অনেক কেন্দ্রে সেই সময় দেয়নি কক্ষ পরিদর্শকরা।

কিছু কিছু কেন্দ্রে নির্ধারিত সেট কোডের বিপরীতে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ভুলটা পরিবর্তন করে সঠিক প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। হল পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণের ঘাটতি থাকায় এরকমটা হয়েছে। এতে করে পরীক্ষার্থীদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এ পরীক্ষায় সমচেয়ে বড় অনিয়ম ছিলো হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয়া। কক্ষ পরিদর্শকদের সামনে মোবাইল ব্যবহার করা হলেও তাঁরা ছিলেন নিরব দর্শক। হলের বাইরে থেকে মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা এবং চিরকুট পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া অনিয়মগুলো অংশগ্রহনকারীরা শেয়ার করেছেন। যা থেকে জানা গেছে, অধিকাংশ কেন্দ্রই এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এ অনিয়মের কারনে ৩জনকে কারাদ- ও পাঁচ জনকে বহিষ্কার করা হলেও বাকীরা ছিলো ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

তারা আরো অভিযোগ করেন, দুর্নীতিবাজদের কারনে মেধাবীরা বঞ্চিত হবেন শিক্ষকতা নামক মহান পেশা থেকে। এরকম পরিস্থিতিতে ভোলায় অনুষ্ঠিত হওয়া প্রাথমিক সহকারি নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অপরাধীদের খুঁজে বের আইনের আওতায় আনা এবং পূর্বের পরীক্ষা বাতিল করে নতুনভাবে স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী মো. নোমান, আরিফ হোসনে, ইমরান হোসেন খাঁন প্রমূখ।







আরও...