অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


রাজাপুরে তিন সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে ভিক্ষুক জোছনা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে মে ২০২২ রাত ১১:১২

remove_red_eye

৩২৭




মোঃ ইসমাইল  :  দূর থেকে বাগানের মধ্যে দেখা যায় একটি পরিত্যক্ত ঘর। আমাদের চোখে দেখা সেই পরিত্যক্ত ঘরেই মানবেতর জীবনযাপন করেছেন ৩ টি শিশু নিয়ে এক ভিক্ষুক মহিলা। কাছে গেলে দেখা যায়, বিছানা পাতার বেরা বেষ্টিত দুই চালের একটি ঘর। ঘরে মধ্যে বসলে আকাশ দেখতে হয় না কোনো কষ্ট। যদিও বেলা দুপুর কিন্তু সেই খুদে ঘরের চুলায় জলচ্ছে না আগুন।
এমন দৃশ্যের দেখা গেলো ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডের চরমনশা গ্রামে।  পরিত্যাক্ত ওই ঘরে বসবস করেন জোছনা (৩২) নামের এক ভিক্ষুক। তার স্বামী নেই।  অন্যের জমিতে কোনো ভাবে একটি ঘরে বেধে মনবেতর জীবনযাপন করেন তিনি। তাার ২ টি ছেলে ও একটি মেয়ে  ছাড়া এই পৃথিবীতে কোনো স্বজন নেই। নেই তার দুঃখের ভাগিদার হবার কেউ। সকাল হলে তিনি বেরিয়ে যান ভিক্ষা করতে। ভিক্ষা করে যা পান তা দিয়ে খিদা নিবেরন করেন শিশু ছেলে হাবিব (৯), আলিফ(৪) ও আলিফার(২)।
জোছনার ভিটা মাটি না থাকায় তাকে ঘরের  চিন্তা করতে হয়।  যে জমিনে তিনি বসবাস করেন, সেই জমির মালিক তাকে ২ বছরের জন্য থাকতে দিলেও এখন ৪ বছর চলমান।  জমির মালিক জোছনা কে এখন ভিটে ছাড়তে বলেন।  ভিক্ষুক জোছনা বেগম কান্নাময় কন্ঠে বলেন, আমি অন্যের জমিতে কোনো রকম একটা ঘর বানিয়ে ৩ টা বাচ্চা নিয়ে বসবাস করি। আমার বড় ছেলে হাবিব (৯) অসুস্থ। ওর চোখে সমস্যা। কোলের ছোট মেয়ে আলিফাকে(২) নিয়ে গ্রাম থেকে ভিক্ষা করে আহার যোগাই। আমিও শারীরিক অসুস্থ।  এখন আর ভিক্ষা করতে গ্রামে বের হতে পারি না। কেউ যদি আমাকে সাহায্য করত। সরকারি ভাবে যদি আমাকে একটা ঘর দিতো তাহলে আমার ছোট ছোট সন্তানদেরকে নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারতাম।  ভিক্ষুক জোছনা বেগমের বিকাশ পার্সনাল নাম্বার ০১৭৬০ ১২৪০৯৫





আরও...