অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


বোরহানউদ্দিনে হাসপাতালে অসুস্থ রোগীর স্বজনকে কুপিয়ে জখম


বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ই মে ২০২২ রাত ১২:০০

remove_red_eye

২৯৪

 ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত  হারুন মাতাব্বরকে দেখতে এসে তাঁর ভাই  মো. বাচ্চু মাতাব্বরকে ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে হারুন মাতাব্বরের শালা হুমায়ূন কবির। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে  বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই ঘটনা ঘটে। বেয়াইকে কুপিয়ে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা থেকে লাফিয়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় নিকটবর্তী হাওলাদার মার্কেট থেকে জনতার হাতে আটক হন হুমায়ূন কবির। আটকের পর হুমায়ূন কবিরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। হুমায়ূন কবির উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের উত্তর কুড়ালিয়া গ্রামের  মোশারেফ হোসেনের ছেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪ নাম্বার বেডে চিকিৎসারত হারুন মাতাব্বর জানান, মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির পাশের আইউব আলীর বাগানের মধ্য দিয়ে আমি ও আমার স্ত্রী ঘরের দিকে আসতেছিলাম। ওই সময় আমার শ্বশুর মোশারেফ হোসেনের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধর জের ধরে আমার ভাই বাচ্চু, আবু, আকবর, লৎফর মাতাব্বর আমাদের  উপর হামলা করে।  তারা আমাদের মাথা ফাটানোসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করে। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে আমাদের  বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে আনে। এখনও আমার শরীরের ৫-৬ টি স্থানে সেলাই। আমার স্ত্রী তাছনুর বেগমের অবস্থাও একই রকম। তিনি আরো জানান, কাল পিটিয়ে  মঙ্গলবার আমার ভাই বাচ্চু আমাকে দেখতে আসে। ওই সময় আমার শালা হুমায়ূন কবিরও  ছিল। তাঁদের ভিতর কথা কাটাকাটি হয়। আমার মাথার পিছনে ঘটনা হওয়ায় কে কাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে তা দেখিনি। অন্য বেডের রোগী দেখতে আসা প্রত্যক্ষদর্শী মো. জসিমউদ্দিন জানান, আমার রোগী ছিল ডেঙ্গু বেডে।  ১৪ নাম্বার বেডে রোগী দেখতে আসা  লোকজনের হৈ চৈ শুনে ওইদিকে যাই। হাঠাৎ ব্যাগে থাকা ছুরি বের করে হুমায়ূন করিব বাচ্চুকে পিছন দিক দিয়ে আঘাত করে। রক্ত বের হবার পর কবির দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। আমি পেছন পেছন দৌঁড় দেই। আমি,স্থানীয় ইউসুফসহ  লোকজন নিকটবর্তী হাওলাদার মার্কেটে কবিরকে ধরে ফেলি। হুমায়ূন কবির জানান, আমার দূলাভাই হারুন মাতাব্বরকে দেখতে হাসপাতালে যাই। বেয়াই বাচ্চু মাতাব্বর আসার পর আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে টিকতে না পেরে আমি আপেল কাটার ছুরি দিয়ে বাচ্চু মাতাব্বরকে আঘাত করি। ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়ার সময় বাচ্চু মাতাব্বর জানান, আমি আমার ভাইকে দেখতে এসেছি। এখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাকে মেরে ফেলার জন্য কবির ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা. মো. তারেক জানান, বাচ্চু মাতাব্বরের শরীরে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশংকাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহীন ফকির জানান, হুমায়ূন কবির থানা হেফাজতে আছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।