অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


যদি একটু খড়া দিতো ধান কাইটা ঘরে উঠাইতাম


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ই মে ২০২২ রাত ১১:৪০

remove_red_eye

৪২০

মো. ইসমাইল II সোমবার (৯ মে) সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালেও থামেনি সে বৃষ্টি। দুপুরে কিছু টা রোদের দেখা গেলেও বিকালের আকাশে ঘিরে আছে মেঘ। এতে ভোলার কৃষকের ধান  কাটাতে বেগাত ঘটছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে ঝড়ের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে রোববার (৮মে) সকল থেকে ধান কাটা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের কৃষক হাসনাইন বলেন, " আহারে আল্লাহ! যদি একটু খরা দিত, তাইলে ধান কাইটা ঘরে উঠাইতাম। গেছে কাইল হারা দিন  বৃষ্টি হইছে, আইজকাও সকালের তে বৃষ্টি পরে।  ঐ দিকে  টিভিতে খবরে কইছে  ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে বৃষ্টি বাদল হয়। ১৩ গন্ডা জমিনে ধান করছি।
আল্লাহ খেতে ধান দিছে কিন্তু বৃষ্টি লইগা ধান কাটিয়া ঘরে উঠাতে পারি না।"


কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন,  ১ কানি জমিনে ইরি( বোর) ধান করছি।  খেতের ধান অনেক টাই পাকছে। আজকে বিকেলে ডিজিটাল মেশিন দিয়া ৫ গন্ডার ধান লইছি।  গতকালকে বৃষ্টি হওয়ায় আমার অনেক গুলো জমিনের ধান মাটিতে  সাথে পড়ে গেছে।


ভোলা সদর কৃষি কমকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন,  ৮০ ভাগ ধান পেকেছে, তাই এই ধান কাটলে কোনো ক্ষতি নেই।  আমরা ঝড়ের আভাস পেয়ে কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছি।
জেলার কৃষি স্প্রসারণ অফিস জানান, এ বছর জেলায় ৬৬ হাজার ৬৫৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।  একদিনে ১১ হাজার হেক্টর জমির  ধান কাটা হয়েছে। আরও ৫০ হাজার হেক্টর ফসল ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তিত কৃষি বিভাগ।  তবে কৃষি বিভাগ বলছে, খুব দ্রæত ধান কাটা শেষ হবে। আগামী ১১ মে'র মধ্যে ধানসহ সব রবিশস্য ঘরে তুলতে নির্দেশ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।





আরও...