অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় করোনার প্রভাব কাটিয়ে জমজমাট ঈদ বাজার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে এপ্রিল ২০২২ সকাল ১০:৫৪

remove_red_eye

৩৮৪

অচিন্ত্য মজুমদার II সারা দেশের মত ভোলায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার। মার্কেট আর বিপণি বিতানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। শহরের পোশাক, শাড়ি, পাঞ্জাবি, গয়না, জুতোর দোকানগুলি ক্রেতাদের পদচারনায় মুখরীত হয়ে উঠছে। গত দুই বছর করোনার বিধিনিষেধ থাকায় আশানুরূপ বেচা-বিক্রি করতে পারেননি ব্যাবসায়ীরা। তাই এ বছর ঈদের বাজার ধরতে হাল ফ্যাশনের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনার ধুম। এদিকে, ঈদ বাজার নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা নিশ্চিত করতে ভোলা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

সরেজমিনে ভোলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণিবিতান ঘুরে জানা গেছে, হাতে আর সময় নেই। কদিন বাদেই খুশির ঈদ। তাই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই। রোজার প্রথম দিকে বেচাকিনা কিছুটা কম থাকলেও দিন গড়ানোর সাথে সাথে ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা ঝুকছে মার্কেটগুলোতে। শহরের কে জাহান শপিং কমপ্লেক্স, জিয়া সুপার মার্কেট, হক মার্কেট, চক বাজারসহ সর্বত্রই মানুষের উপচে পড়া ভীড়। ক্রেতাদের নজর কাড়তে বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। আকর্ষনীয় সব নামের পোশাক বাজার দখল করে নিয়েছে। এর মধ্যে মেয়েদের কাচাঁ বাদাম, পুস্পা, শারারা, ঘারারা, ফ্লোরটাচ, আচলকুচি থ্রী-পিসের চাহিদা বেশি। অপরদিকে পাঞ্জাবী ও শাড়ীর দোকান গুলোতেও রয়েছে দেশি বিদেশি বাহারি সব পণ্যের পসরা। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে গত দুই বছরে ঈদে অর্থনীতি স্থবির ছিল। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় সেই স্থবিরতা কাটিয়ে এবার ঈদের বেচা-কেনায় ব্যাস্ত ক্রেতা বিক্রেতারা।

শহরের উকিলপাড়ায়  এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন। চক বাজারে এসেছেন শাড়ি ও থ্রি-পিস কিনতে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতবছরের তুলনায় থ্রি-পিসের দাম প্রায় ডাবল হয়েছে। যে থ্রি-পিসের দাম দুই হাজার ছিল এ বছর সেগুলোর দাম তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারে উঠেছে। শাড়ির দামও কিছুটা বেড়েছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে কালিনাথ রায়ের বাজার এলাকার বাসিন্দা নুশরাত জাহান ও মাইশা বলেন, আগের তুলনায় এবার সব ধরনের পোশাকের দাম বাড়ায় পছন্দের পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে দাম বেশি হলেও পছন্দের পণ্য কিনতে পেরে খুশি তারা।

এদিকে চকবাজার হক মার্কেটের ব্যবসায়ী রাজন সাহা এবং লোকনাথ বস্ত্রালয়ের ব্যবসায়ী গোপাল সাহা বলেন, বরাবরের মতো এবারো বাচ্চা ও নারীদের পোশাক বেশি বেচাকেনা হচ্ছে। এবারের ঈদে বাহারি রঙ্গের ‘পুষ্পা’ ও ‘কাঁচা বাদাম’ নামের থ্রি-পিসও ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। তবে দাম একটু বেশি স্বীকার করে তারা জানান, সুতা এবং রঙের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় এবছর পণ্যের দাম বেশি। এরপরও গত দু’বছরের তুলনায় এবছর লোক সমাগম ও বিক্রি বেশি। আগামী দু এক দিনের মধ্যে বেচা বিক্রি আরো বাড়বে বলে জানান তারা।  

এদিকে ঈদ বাজারে ক্রেতাদের জন্য তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানালেন ভোলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম ( বিপিএম, পিপিএম)। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটসহ লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটে পুলিশের বাড়তি নজরদারি রয়েছে। ঈদে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা নিশ্চিত করতে টহল পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মাঠে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।







আরও...