অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


বোরহানউদ্দিন পল্লী বিদ্যুৎ কখন আসে কখন যায় জানেনা কেউ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২শে জুলাই ২০১৯ রাত ১১:০৭

remove_red_eye

৭৫৫

আব্দুল আজিজ,বোরহানউদ্দিন || বোরহানউদ্দিনে পল্লীবিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং চরম পর্যায় পৌঁচেছে। অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। অধিকাংশ দিন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখে কতৃপক্ষ। দিন ও রাতের অধিকাংশ সময় পল্লীবিদ্যুৎ না থাকায় ভাবসা গরমে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন এলাবাসী। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ না থাকার কারণ জানতে চাইলে গ্রহকদের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ খারাপ আচরনের পাশাপাশি দিচ্ছে হামলা মামলার হুমকি। বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর কূপের প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে ভোলা সদরে ৩৪ মেঘাওয়াট ও বোরহানউদ্দিন কুতুবা ইউনিয়নের নাদিরা চর এলাকায় ২২৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে প্রতিদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। ভোলার বিদ্যুৎ দিয়ে বরিশাল অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা, উপজেলা আলোকিত হলেও ভোলাবাসী অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। এদিকে পল্লীবিদ্যুতের অসহনীয় লোডসেডিং নিয়ে রোজা শুরুর দিন থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা- সমালোচনার ঝড় তুলেছে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকরা।
বড়মানিকা ইউনিয়নের মো: মাকসুদ জানান, আমাদের বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২২৫ মেঘাওয়াট ও ভোলা সদরে ৩৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে অথচ আমরা ঠিকমত বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গড়ে ৮-১০ বার লোডসেডিং চলছেই। বোরহানউদ্দিন শাহাবাজপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঃ মালেক অভিযোগ করে বলেন, সরকারের বিপুল সংখ্যক বিদ্যুৎ উৎপাদন থাকা সত্বেও পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে আমরা ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছি। দিন ও রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হয় পল্লীবিদ্যুৎ গ্রাহকদের। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে। এতে মাথা ব্যথা নেই পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, প্রতি বছর পল্লী বিদ্যুতের লাইনের পাশে গাছের ডালপালা কাটার জন্য বিশাল অংকের বাজেট থাকে । ওই বাজেটে ঠিকমত গাছের ডালপালা না কাটার ফলে সামান্য বৃষ্টি ও বাতাসে লাইন বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া গ্রাম গঞ্জে অপরিকল্পিত এস.টি লাইন সংযোজনের কারণেও ঘন ঘন লোড সেডিং হচ্ছে। আর এ অপরিকল্পিত এস.টি লাইনের কারণে প্রতি বছর কাটা যাবে জেলার হাজার হাজার গাছপালা। এতে করে হুমকীর মুখে পড়বে উপকুলীয় বনাঞ্চল।
উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের গ্রাহক আলহাজ্ব ফকরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মাস শেষে বিলের সাথে সার্ভিস চার্জ, ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়া নিলেও সেবার বেলায় সর্বনিন্ম। পৌর ১ নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানায়, সারাদিন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে বাসায় ফিরলে লোড সেডিংয়ের জ্বালায় একরকম নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। গংগাপুর ইউনিয়নের মাদ্রাসার শিক্ষক লাভলু মৃধা জানায়, ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অন্যায় ভাবে পল্লী বিদ্যুতের মধ্যে অফিস স্থাপন না করে ওজোপাডিকোর মধ্যে অফিস স্থাপন করায় কখন বিদ্যুৎ থাকে কখন থাকেনা অফিসের লোকজন তা জানেন না। তাদেরকে ফোনদিয়ে বলতে হয় এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। একেতো গরম আবার থাকে না বিদ্যুৎ। এতে আমরা চরম কষ্টের মধ্যে আছি। বিদ্যুৎ একবার গেলে ১/২ ঘণ্টার আগে আর দেখা মিলে না বিদ্যুৎ বিল ঠিকমত আদায় করলেও আমাদের গ্রাহক সেবা ঠিকমত দিচ্ছে না। আমরা বিদ্যুৎতের এ লোডশেডিং থেকে মুক্তি চাই। এব্যাপারে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম আবুল বাশার তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যান্ত্রিক ত্রæটির জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে কাজ করতে হয় ওই সময় বিদ্যুৎ থাকে না।