অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় গ্রামে ৬৪ ভাগ লেট্রিন অস্বাস্থ্যকর


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬শে নভেম্বর ২০১৯ রাত ০৮:৩৩

remove_red_eye

৭৭৭

অমিতাভ অপু || ভোলা জেলার গ্রাম পর্যায়ে ৬৪ ভাগ লেট্রিনই অস্বাস্থ্যকর। এমকি দরিদ্র্য পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর লেট্রিন ব্যবহারের হার মাত্র ১৬ ভাগ। জেলা সদরের ধনিয়া ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নে অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে আসে।
পানি ব্যবস্থাপনা নাগরিক কমিটির কমিউনিটির বেইজ ম্যাপিং জরিপ রিপোর্টেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। স্যানিটেশন অ্যাডভোকেসি বিষয়ক ৩ দিনের কর্মশালার শেষ দিনে মঙ্গলবার গ্রাম পর্যায়ে এমন পরিস্থিতি উত্তোরনে ১০টি প্রস্তাব দেন নাগরিক কমিটির নেতারা।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ধনিয়া ইউনিয়নে ৮ হাজার ২শ ৫ পরিবারের মধ্যে লেট্রিন ব্যবহার করেন ৭ হাজার ৩০১ পরিবার। স্বাস্থ্যকর লেট্রিন ব্যবহার করে দুই হাজার ৬শ ৯৭ পরিবার। অস্বাস্থ্যকর লেট্রিন ব্যবহার করে ৪ হাজার ৬শ ৪ পরিবার। নিজেদের লেট্রিন নেই এমন পরিবার রয়েছে ৯০৪ টি। ওই ইউনিয়নে স্বচ্ছল পরিবারের সংখ্যা এক হাজার ৫৩৬। অতিদরিদ্র্য পরিবারের সংখ্যা দুই হাজার ১৯৪। দরিদ্র্য বা গরীব পরিবারের সংখ্যা এক হাজার ৮১৭। মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা রয়েছে দুই হাজার ৬৫৮। কেবল অতিধনি বা স্বচ্ছ¡ল পরিবার ছাড়া স্বাস্থ্যকর লেট্রিন ব্যবহার করছেন এক হাজার ১৬১ পরিবার। এর হার হচ্ছে মাত্র ১৭ ভাগ। অপরদিকে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের গবেষনাষনা তথ্যে দেখা যায়, পরিবারের সংখ্যা ৮ হাজার ৭৫৩টি। স্বচ্ছ¡ল পরিবারের সংখ্যা ৮২০। মধ্যবিত্ত পরিবার এক হাজার ৬০৯টি। অতিদরিদ্র্য পরিবারের সংখ্যা তিন হগাজার ৩১৯টি। দরিদ্র্য বা গরীব পরিবারের সংখ্যা ৩ হাজার ৫টি। এদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর লেট্রিন ব্যবহার করছে এক হাজার ৯৬৩ টি। অস্বাস্থ্যকর লেট্রিন ব্যবহার করছে ৬ হাজার ৩০৩টি পরিবার। লেট্রিন ব্যবহার করেন না ৫০৭ পরিবার। ৭ হাজার ৪২৬টি অস্বচ্ছল বা দরিদ্র্য পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর লেট্রিন ব্যবহার করেন মাত্র একহাজার একশ ২৩ পরিবার। এর হার হচ্ছেমাত্র ১৫ ভাগ। উন্নয়ন সংস্থা ডরপ’র পরিচালক ( প্লানিং এন্ড গবেষনা) যোবায়ের হাসেন জানান, তাদের সংস্থার সহযোগিতায় নাগরিক কমিটির একটি টিম মডেল হিসেবে দুই ইউনিয়নে স্যানিটেশন ও লেট্রিন বিষয়ে অনুসন্ধান ম্যাপ জরিপ করেন । ওয়াটার এইডের প্রতিনিধি রঞ্জন কুমার ঘোষ, ডরপ ওয়াটারশেডের প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর পার্থ সারথী কুন্তল, ডরপ জেলা প্রতিনিধি তরুন কান্তি দাস , আইআরসি’র প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর দিকবিজয় দে জানান, ভোলায় স্বাস্থ্যকর লেট্রিন ব্যবহারে গ্রামের মানুদের সচেতন করা প্রয়োজন।