অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


বোরহানউদ্দিনে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন


বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭ই এপ্রিল ২০২২ রাত ১২:৩৪

remove_red_eye

৪০২

 ভোলার বোরহানউদ্দিন সাচড়া দরুন বাজারে বিএনপি করার অপরাধে এক বিচার প্রার্থীকে সাহায্যের হাত বাড়াতে অস্বীকৃতি জানান থানার ওসি। আর ওই সুযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলম চৌধুরী ভাতিজাদের ক্রয়কৃত জমি দখল করে নেন।  ৩ একর ৭৫ শতাংশ জমির সামনের ৮ শতাং জুড়ে পাকা দেয়াল ও পাকা ভবন নির্মান শুরু করেছে মাহাবুব আলমের নেতেৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। থানায় অভিযোগ  দিয়ে প্রতিকার নেই ।  দখল বন্ধ করতে পারছেন না জমির প্রকৃত মালিক জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের এসএ শাখার সদ্য  অবসরপ্রাপ্ত জেলা কাননগো বদরুজ্জমান চৌধুরী ও স্ত্রী উন্মে হাবিবা। শুক্রবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে বদরুজ্জামানের পক্ষে তার স্ত্রী উন্মে হাবিবা লিখিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলে ধরেন।  


বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী বদরুজ্জামান ও স্বামীর ভাই নুরুজ্জামান বাহার ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে ক্রয় সূত্রে ৩ একর সাড়ে ৭৫ শতাংশ জমির মালিক। ক্রয়ের পর থেকে ওই জমি তারা ভোগ করছেন। কিšুÍ তিন বছর আগে হটাৎ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ওই জমিতে তার অংশ আছে দাবি করেন। ওই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্যেও নির্দেশে তৎকালীন ওসি এনামুল হক উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সরেজমিনে মাপঝোক দিয়ে দেখেন ওই জমিতে মাহাবুব চৌধুরীর কোন পাওনা জমি নেই। ওই রিপোর্ট ওসি উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে দেন। এ অবস্থায় হঠাৎ করে ফের তিন দিন আগে বুধবার ৮ শতাংশ জমি দখল করে তাতে পাকা ভবন নির্মান করে মাহাবুব চৌধুরীর ছেলেরা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বর্তমান ওসি  শাহীন আলম ফকির   উল্লেখ করেন,  নুরুজ্জামান বাহার বিএনপি করে, তার জন্য কিছু করা যাবে না। 

এমন কথা শুনে অসহায় হয়ে দেনদরবার করেন। পরের দিন এসআই রিপনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হলেও  তিনি ঘুরে ফিরে চলে আসেন। তার সামনেও মাহাবুব গ্রæপ ভবন নির্মান অব্যাহত রাখে। এদিকে মাহাবুব আলম চৌধুরী অসুস্থ আছেন,  উল্লেখ করে তার  ছেলে মিথুন চৌধুরী   জানান, তারা বাহার ও বদরুজ্জামানের জমি দখল করেন নি। তাদের পিতার রেকর্ডিয় জমিতে পাকা ভবন করছেন। তার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেও দাবি করেন মিথুন। ওসি শাহীন ফকির জানান, এমন কথা সত্য নয়। কে বিএনপি করে, কে আওয়ামী লীগ করে, তা তার দেখার বিষয় নয়। তিনি আইন মাফিক চলেন বলেও দাবি করেন। এর বাইরে তিনি কাজ করেন না বলে উল্লেখ করেন। জমি জমার বিষয় আদালতের। তার তপ্ততরের দেখার কিছু নেই বলেও জানান।


এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ জানান, এদের বিরোধের কথা শুনেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উন্মে হাবিবা আরো জানান, স্বামীর অংশ হিসেবে ওই জমির মালিক বর্তমানে তিনি। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও বীর  মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মানিক মিয়ার মেয়ে। অথচ  সত্যের জন্য পুলিশের সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন।