অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় লাউ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬শে জুলাই ২০১৯ রাত ০৮:২১

remove_red_eye

২৬২৯

 

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় গ্রীষ্মকালীন লাউয়ের চাষ দিন দিন বাড়ছে। সবজি হিসেবে লাউয়ের চাহিদা থাকায় বাজারে দামও ভাল। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় ভোলার চাষিরা ঝুঁকছেন লাউ চাষে। দেশে সবজির চাহিদা সারা বছর থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে ভোলায় সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে গ্রীষ্মকালীন লাউয়ের চাষ অন্যতম। এই চাষে লাভবান হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লাউ চাষ।
ভোলা জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার লাউয়ের চাষ হয়েছে ১৬০ হেক্টর জমিতে, যা গতবারের তুলনায় ৩৫ হেক্টর বেশি। বিঘাপ্রতি লাউ চাষ করতে কৃষকের খরচ হয়েছে ১০/১২ হাজার টাকা। বাজার দর ও চাহিদা ভালো থাকায় এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত লাউ বিক্রি করে কৃষক ঘরে তুলছেন ৫০-৬০ হাজার টাকা।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের লাউ চাষি আব্দুল হান্নান ও গোলাম রসুল বাংলার কন্ঠকে জানান, লাউ চাষ করে লোকসান গুণতে হয় না। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয় এ সবজি বিক্রি করে। তাছাড়া বাজারে সব সময় লাউয়ের চাহিদাও থাকে।দক্ষিণ চর পাতা গ্রামের ব্যবসায়ী ইমারত আলী জানান, আমি এখান থেকে লাউ কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাই। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার মার্কেটে লাউয়ের চাহিদা সব সময় থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফ চৌধুরী বাংলার কণ্ঠকে জানান, অর্থকরী ফসল হিসেবে লাউ আবাদে কৃষক লাভবান হওয়ায় সবজির জেলা ভোলার চাষিরা লাউ চাষ করে থাকেন।