অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিন ও লালমোহনের উপকূল রক্ষায় ১১শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ই এপ্রিল ২০২২ রাত ১১:২৬

remove_red_eye

৩৪২


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি :  ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার মেঘনা উপকুলীয় অঞ্চল রক্ষা ও নদীর তীর সংরক্ষনের জন্য বৃহৎ একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি (একনেক) ভোলা-৩ আসনের মেঘনা নদীর তীর সংক্ষনে এক হাজার ৯৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। নির্বাচনী এলাকায় এমন খবর আসার পরপরই সাধারণ মানুষকে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। স্থানীয় মানুষ এত বড় প্রকল্প অনুমোদনের জন্য একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ¯’ানীয় সাংসদ নুরুন্নবী চৌধূরী-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

সুত্রে জানায়, তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার উপকুলীয় বাঁধ পূর্নবাসন, নিষ্কাশন ব্যব¯’ার উন্নয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্পে (১ম পর্যায়) এক হাজার ৯৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়ন থেকে দক্ষিনে তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলা হয়ে চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া পর্যন্ত ৩৪ কি.মি. বাঁধের উন্নয়ন হবে। বাঁধের উ”ঁচতা আরো ৫ ফুট বৃদ্ধি কওে ১৮ ফুট কার্পেটিং সড়কের প্রস্তাব করা হয়েছে। সড়ক বাঁধের একপাশে বøক ও জিও ব্যাগ দ্বারা নদীর তীর সংরক্ষণ ও অপরপাশে সবুজায়ন করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেষ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলন করার পর এ তথ্য টিভিতে প্রচারের পরপরই মানুষের মধ্যে আনন্দ উ”ছ¡াস দেখা যায়।  

সাংসদ নুরুন্নবী চৌধূরী জানান, এ প্রকল্পটি এলাকার মানুষের প্রানের দাবী ও আমার নির্বাচনী অঙ্গিকার। ভোলার মানুষকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় এবং এ যাবৎ কালে জেলার সবচেয়ে বড় প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলেই এদেশে উন্নয়ন হয়। তাই এ প্রকল্পের কারনে ভোলার মানুষ বারবার আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে। ইতিপূর্বেও প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে নদীর তীর সংরক্ষনের জন্য তজুমদ্দিনে ৬শ কোটি এবং লালমোহনে ২৩২ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করা হয়।