অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে ড্রেনের ময়লা রাস্তায় ফেলে আন্দোলনে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭শে জুলাই ২০১৯ রাত ১০:০২

remove_red_eye

৬১৬

মোশারেফ হোসেন সোহেল, লালমোহন থেকে : লালমোহন বাজারে ড্রেনের ময়লা তুলে রাস্তায় ফেলে রেখে ঢাকায় আন্দোলনে গেছে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। গত ১ সপ্তাহ আগে পৌরসভার ড্রেনের ময়লা রাস্তায় তোলা হয়। কিছু ময়লা সরানো হলেও চৌরাস্তা মোড় গুরুস্তপূর্ণ স্পটে রাস্তায় ফেলে রাখা ময়লা এখনো সরানো হয়নি। ময়লার দুর্গন্ধে ব্যবসায়ীরা যেমন টিকতে পারছে না, তেমনি ওই পথ দিয়ে পথচারীরাও চলাচল করতে পারছে না। নাক টিপে চলাচল করতে হয় সকলের। যানবাহনের চাকায় ময়লাগুলো সমস্ত বাজারে ছড়িয়ে পরছে। একই অবস্থা উত্তর বাজার এলাকায়ও। সেখানে বর্ষায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে রাস্তায় ময়লা কাঁদা একাকার হয়ে আছে।
এছাড়া পৌরসভা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে লালমোহন পৌরসভার সকল কার্যক্রম। সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসীরা। জন্মনিবন্ধন, নাগরিকসনদপত্র না পেয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন শহরবাসী। এতে ভোগান্তিতে পৌর এলাকার ৩৮ হাজার নাগরিক। একাধিক সূত্র জানায়, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে লালমোহন পৌরসভা কার্যালয়ে নাগরিক সেবা নিতে এসে শত শত মানুষ ফিরে যাচ্ছেন।
জানা যায়, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা এবং পেনশনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করে আসছে সারাদেশের পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে লালমোহন পৌরসভা সহ সারাদেশের পৌরসভার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব প্রকৌশলী দ্রæবলাল দত্ত বণিক জানান, আন্দোলনের কারণে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ঢাকায় অবস্থান করছে। সারা বাংলাদেশেই একই অবস্থা। তবে রাস্তায় পরে থাকা ময়লা কাল সকালে সরিয়ে ফেলা হবে বলে তিনি জানান।
লালমোহন পৌরসভা কর্মচারী সংসদের সভাপতি মোঃ সফিউল্যাহ মিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান, আমরা অসহায়, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই আমরা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা এবং পেনশনের দাবিতে বর্তমানে ঢাকায় কর্মসূচি পালন করছি। তারা আরও জানান, যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা হবে না, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।