অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


বৃষ্টিতে আমের ফলন নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ই মার্চ ২০২২ দুপুর ০১:২৭

remove_red_eye

৪৫৮

গত বছরের তুলনায় এ বছর সাতক্ষীরার আম বাগানের গাছগুলোতে মুকুল এসেছে কম। তার উপর অসময়ের বৃষ্টি এবং কুয়াশার কারণে আমের ফলন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছেন চাষিরা। যদিও কৃষি বিভাগ বলছে বৃষ্টিতে আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হলেও কৃষকদের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মূল্য নির্ধারণসহ পরিবহন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিত দেওয়া হবে। 

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমের গাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর, তালা, কলারোয়া দেবহাটা ও কালিগঞ্জ এই পাঁচ উপজেলায় জেলার সবথেকে বেশি আম উৎপাদন হয়। 

জানা গেছে, প্রতি বছর এ সময় সাতক্ষীরার আম গাছগুলো মুকুলে মুকুলে ভরে উঠলেও এবারের চিত্রটা ভিন্ন। সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে হিমসাগর ও গোবিন্দভোগ আম গাছে এবার তুলনামূলক কম মুকুল ফুটেছে। 

 

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একটি আম বাগানের মালিক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছরে আম গাছে খুব বেশি মুকুল আসেনি। যতটুকু হয়েছিল তাও বৃষ্টির ও কুয়াশার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আমপানের কারণে গত দুই বছর তেমন লাভের মুখ দেখতে পায়নি। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে আমরা আম চাষিরা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হব।’

কুখরালী এলাকার আম চাষি জাহিদ হাসান বলেন, ‘গাছে আমের মুকুল কম। গাছে মুকুল ধরে রাখতে বারবার ওষুধ স্প্রে করতে হচ্ছে। তাছাড়া কিছু কিছু ওষুধের দাম ব্যয়বহুল হওয়ায় তা আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।’

 

সাতক্ষীরা গড়েরকান্দা এলাকার চাষি মো. সাহিদুর রহামন বাবু বলেন, ‘আট থেকে দশ লাখ টাকা দিয়ে একটি আম বাগান কিনেছি। গাছে তেমন মুকুল ধরেনি। গোবিন্দ ভোগ আম গাছে কিছু মুকুল ধরেছে তবে হিমসাগর গাছে মোটেও মুকুল ধরেনি। আমপান ঝড়ে যে ক্ষতি হয়েছিল সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠার চেষ্টায় ছিলাম কিন্তু এবছর তো কোনো মুকুল হয়নি। তাই সরকার যদি আমাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতো তাহলে আমারা সেই ক্ষতিটা উসুল করে উঠতে পারতাম।’

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হক বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বিদেশে রপ্তানির জন্য ৫০০ আম বাগান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি যোগ্য। ’

তিনি আরো বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা যাতে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য আমের মূল্য নিধারণসহ সব প্রকারের সহযোগিতা করা হবে।’

 





আরও...