অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় জমি দখল করে ঘর উত্তোলনের চেষ্টা : বাঁধা দেওয়ায় মা ছেলেকে পিটিয়ে জখম


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৫ই মার্চ ২০২২ রাত ১০:৪৬

remove_red_eye

৪৪৫




আকতারুল ইসলাম আকাশ : ভোলা সদর উপজেলা ধনিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে জোরপূর্বক প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল করে ঘর উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘর উত্তোলনে বাঁধা দেওয়ায় মা হাছিনা বেগম ও তার ছেলে রুবেল কে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহ¯পতিবার (৩ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় মামলা দেয়া হলেও পুলিশ এখনো তা রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, হামলায় আহত হাছিনা বেগম (৫৫)  ওই এলাকার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী। রুবেল হাছিনা বেগমের মেঝো ছেলে।আহত হাছিনা বেগম ও রুবেল ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।প্রতিপক্ষরা হলেন, ওই গ্রামের হাসিম মিকারের ছেলে সেনাসদস্য মো. বিল্লাল (৩৭) হোসেন, বিজিবি সদস্য ছেলে মো. নুরুল (৩০) ইসলাম, মো. আমান (৩৪), মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে মো. হাসিম (৬০) মেকার ও মো. মাষ্টার (৫০)। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ সকলের নাম উল্লেখ করে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত হাছিনার ছেলে মো. সোহেল। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক সোহেলের দাদার সূত্রে পাওয়া জমিতে ঘর উত্তোলনের চেষ্টা করে। এতে হাসিনা বেগম ও রুবেল বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষরা তাদেরকে পিটিয়ে জখম করে। এসময় প্রতিপক্ষরা আহতদের গলার ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিপক্ষের বিল্লাল হোসেন ও নুরুল ইসলাম সেনাসদস্য ও বিজিবি সদস্য হওয়ার ফলে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে তাদের জমিতে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলন করার চেষ্টা করছেন ।  ঘর উত্তোলনে বাঁধা দিলে আহতদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।তবে প্রতিপক্ষরা তাদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানান, আপাতত তাঁরা সেই জমিতে ঘর উত্তোলন করছেন না। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ ঘর উত্তোলন বন্ধ রাখতে বলেছেন।
এবিষয়ে ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল ইসলাম কবির বাংলার কন্ঠকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষকে নিয়ে ১৬ মার্চ স্থানীয় পর্যায়ে একটি শাসিলি বৈঠক বসানো হবে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।









আরও...