অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরার খাদ্যগুদাম রাস্তা যেন মরন ফাঁদ যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ রাত ১২:২৭

remove_red_eye

৪৬৬

 ভোলার মনপুরার খাদ্যগুদাম রাস্তা যেন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়ত শতশত টন চাউল মালবাহী ট্রলি(ট্রাক) চালকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাদ্যগুদামে চাউল মজুদ করছেন। আবার খাদ্যগুদাম থেকে চাউল নিয়ে ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে পৌছিয়ে দিচ্ছেন উপকার ভোগীদের জন্য। খাদ্য গুদামের একমাত্র রাস্তাটি র্দীঘর্দিন মেরামত না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তাটি দ্রæত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে গড়ে  তোলার দাবী জানাচ্ছেন মাল(চাউল) বহনকারী ট্রলি(ট্রাক) চালকরা। বর্ষা মৌসুমে রাস্তা দিয়ে মালামাল আনা-নেওয়া মোটেও সম্ভব নয়।


খোঁজ নিয়ে জানাযায়, খাদ্যগুদাম রাস্তা ও খাদ্যগুদাম বাউন্ডারির ভিতরের বালু দিয়ে ভরাট করার কাজটি পেয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিঃ। ২০১৯/২০ অর্থবছরে বরাদ্ধকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ টি পায়। অথচ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অদ্যবদি রাস্তাটি মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি পুরোপুরি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। রাস্তাটি সরকারী পুকুরপাড়ের উপর দিয়ে যাওয়ায় পুকুরের পাড়টি ভেঙ্গে যাচ্ছে। পুকুর পাড় ভেঙ্গে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্বভনা রয়েছে। রাস্তাটি মেরামত না হলে খাদ্যগুদামে কোন চাঊল মজুদ করতে পারবেনা খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। ফলে ৪টি ইউনিয়নে সরকারের সুবিধাভুগী হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবে। খাদ্যগুদাম রাস্তাটি দ্রæত মেরামত করার দাবী জানাচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সচেতন মহল।


এছাড়াও খাদ্যগুদামের বাউন্ডারির পুর্বপাশের দেওয়াল ধসে পড়েছে। এখনও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অরক্ষিত অবস্থা রয়েছে মনপুরার খাদ্যগুদাম।
খাদ্যগুদামে চাউল বহনকারী ট্রাক চালক(ট্রলি) মোঃ গিয়াসউদ্দিন ও মোঃ আজগর জানান, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে খাদ্যগুদামে চাউল মজুদ করি। রাস্তাটি মাঝে মাঝে গর্ত হয়ে গেছে। চাউল বোঝাই গাড়ী এইসব গর্তে পড়লে সহজে উঠানো যায়না। পুকুরের পাড়ের উপর দিয়ে রাস্তা যাওয়ায় আমাদের ঝুঁিক বেশী। যেকোন সময় ট্রলি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে কোন চাউল আনা নেওয়া করা যাবেনা। দ্রæত রাস্তাটি মেরামত করার দরকার।
এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিঃ কাজের দায়িত্বে  থাকা তৈয়বুর রহমান বলেন, রাস্তাটি পুকুর পাড়েরর উপর দিয়ে যাওয়ার কারনে রাস্তা করলেও ভেঙ্গে যাবে। পুকুরের ভিতর কোন পাইলিং ধরা নেই। এখন রিভাইজের জন্য দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এই মাসের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারব।


এব্যাপারে মনপুরা খাদ্যগুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসিএলএসডি) অঞ্জন কুমার ডাকুয়া বলেন, খাদ্যগুদাম রাস্তাটি বেহাল অবস্থা। খাদ্যগুদামে চাউল আনতে খুব সমস্য হচ্ছে। ট্রলি চালকেরা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত খাদ্যগুদামে চাউল মজুদ করছেন। বর্ষ মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে মালামাল(চাউল) আনতে খুব সমস্যা হবে। আমি এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করেছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠনকেও রাস্তাটি মেরামত করার জন্য চিঠি দিয়েছি।