অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মিরাজ-আফিফে জিতবে বাংলাদেশ, বিশ্বাস ছিল ডমিঙ্গোর


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ সন্ধ্যা ০৭:০৫

remove_red_eye

৫০৯

৪৫ রানে নেই ৬ উইকেট, শিকারের তালিকায় সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা মাঠছাড়ার পর চার উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশের দরকার ছিল আরো ১৭১ রান। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান বলতে তখন ছিলেন কেবল আফিফ হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কত রানে আফগানিস্তানের কাছে স্বাগতিকরা হারে, সেই হিসাব শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে দুজন মিলে বাংলাদেশকে জিতিয়ে আসেন।

৪ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয়ের পর অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানান, এই ম্যাচও যে জেতা যাবে সেই বিশ্বাস ছিল না তার। কিন্তু কোচ রাসেল ডমিঙ্গো কেন জানি আশা হারাননি। বিশেষ করে মিরাজ যখন ব্যাট করতে নামলেন, তখন তার মনে ক্ষীণ আশা জেগেছিল।

 

মিরাজ ও আফিফের রেকর্ড ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুর্দান্ত জয়ের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ বললেন, ‘যখন মিরাজ ব্যাট করতে নেমেছিল, তখন আমি (টিম অ্যানালিস্ট) শ্রীকে বললাম যে তারা ১৫০ রান করে ফেলবে। তাসকিন ও শরিফুলকে নিয়ে তখনো আমাদের ১৫ রান প্রয়োজন হবে। ওই মুহূর্তে মিরাজের ব্যাটিংয়ে আমার অনেক আত্মবিশ্বাস ছিল। তার একটি টেস্ট শতক আছে। নিউ জিল্যান্ড ও বিপিএলেও ভালো করেছিল। আমি জানি এটা বিশ্বাস করা কঠিন শোনাবে, কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল আমরা জিতব। ভালো উইকেট ছিল এটি। রানরেটও আমাদের হাতের নাগালে।’

মিরাজের সঙ্গে আফিফ থাকায় বিশ্বাসটা আরো মজবুত হয়েছিল ডমিঙ্গোর, ‘আমি জানি আফিফ কত ভালো। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে তাকে এটি করতে দেখেছি। আমি মনে করি সে একজন চমৎকার খেলোয়াড়। সে হতে যাচ্ছে সাদা বলে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। গতকাল এভাবে তাদের ব্যাট করতে দেখাটা ছিল সত্যিই আনন্দদায়ক। জুটিটি নিয়ে আমি গর্বিত।’

বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ দিকে হঠাৎ করে ফ্লাডলাইট বিভ্রাটে কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল খেলা। ওই সময় একটু উদ্বেগে ছিলেন ডমিঙ্গো, ‘যখন ৬০ রানের মতো লাগত, তখন মনে হলো আমাদের ভালো সুযোগ আছে। কারণ মোমেন্টাম আমাদের পক্ষে ছিল। তাদের বোলিং অপশন কমছিল। উইকেটও সুন্দর ভূমিকা রাখছিল। ফ্লাডলাইটের কারণে খেলা বন্ধ হলে আমি দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। ভয় লাগছিল, মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলি কি না। তার আগে ২-৩ ওভার আমরা খুব ভালো খেলেছি। আবার খেলা শুরু হওয়ার পর আফিফ একটু ছন্দ হারিয়েছিল। তবে পরিপক্বতা দেখিয়ে ম্যাচ বের করে এনেছে।’