অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ৭ই এপ্রিল ২০২৫ | ২৩শে চৈত্র ১৪৩১


রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারদের ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ সন্ধ্যা ০৬:৩২

remove_red_eye

১৯১৩

এম শরীফ আহমেদ।। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের ২০-১১ গ্রেডের কর্মচারীদের পদোন্নতি' কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতো ২০-১১ গ্রেডের কর্মচারীদের পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হলেও স্টেশনমাস্টার'দের মধ্যে চরম ক্ষোভ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
 
বেশ কয়েকজন স্টেশনমাস্টারের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, এই পদোন্নতির পদ্ধতি চরম বৈষম্যমূলক। ৫ নাম্বারে বলা হয়েছে টিএ গ্রেড-২ হতে হেড ট্রেন্স ক্লার্ক ও গার্ড গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির আবেদন করা যাবে। আবার ৪ নাম্বারে বলা হয়েছে এএসএম থেকে স্টেশনমাস্টার গ্রেড-৪ ও গার্ড গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির আবেদন করা যাবে।
 
টিএ গ্রেড-২ পদটি এসএসসি ও ৮ম শ্রেনীর পদোন্নতি পদ অপরপক্ষে এএসএম স্নাতক ডিগ্রী ধারী ও সরাসরি ১৫ তম গ্রেডের। আবার গার্ড গ্রেড-২ পদটি বাংলাদেশ রেলওয়ের জিএস রুল-৯৬ অনুযায়ী একজন স্টেশনমাস্টারের অধীন। তাহলে একজন এএসএম (স্নাতক)-কে  কিভাবে গার্ড গ্রেড -২ (এইচএসসি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে! 
 
আবার স্টেশনমাস্টার গ্রেড-৩ হতে প্রথমে জেটিআই পদে পদোন্নতির আবেদন করা যাবে মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিলেও পরবর্তীতে আবার তা স্টেশন মাস্টার গ্রেড-২ হতে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে! ফলে স্টেশনমাস্টারদের মধ্যে চরম হতাশা কাজ করছে।এসব বৈষম্য নিয়ে স্টেশনমাস্টার'দের নেতাদের মধ্যে কথা বলে জানা যায় যে, বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে স্টেশনমাস্টার পদটি। অথচ রেল প্রশাসন এই পদটির উন্নয়নে কোনো ভূমিকা অতীতেও রাখেনি এমনকি বর্তমানেও রাখছে না। বিসিএস ক্যাডার ব্যতীত রেলওয়ের এমন কোনো পদ নেই যা স্টেশনমাস্টার থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এই পদটিই সব থেকে বেশি অবহেলিত।
 
স্টেশনগুলোতে শ্রম আইন অনুযায়ী লোকবল প্রদায়ন না করায় ডিউটি রোষ্টার মেনে ডিউটি করা সম্ভব হচ্ছে না।ফলে প্রতিদিন'ই অতিরিক্ত ডিউটি করতে হয়। কিন্তু বিনিময়ে কোনো ভাতা প্রদান করা হয় না।এমনকি হলিডে, নাইট ডিউটি ভাতাও প্রদান করা হয় না।ফলে, প্রতিদিন অতিরিক্ত ডিউটি করার ফলে প্রায়ইশ ঘটছে ছোট-খাটো দূর্ঘটনা। 
 
এছাড়াও পদবী অনুযায়ী স্টেশনমাস্টার'দের বেতন গ্রেড নিম্নমানের হওয়ায় স্টেশনে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীগনদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ফলে টিকিট কালোবাজারি থেকে নানবিধ যাত্রী সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।বাংলাদেশ রেলওয়ের কাঙ্খিত মান উন্নয়ন করতে হলে স্টেশনমাস্টার পদটির মান উন্নয়ন ব্যতীত উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব বৈষম্য নিরসনে স্টেশনমাস্টার ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
 
লেখকঃএম শরীফ আহমেদ 
(তরুণ উদ্যোক্তা,স্বেচ্ছাসেবী ও সাংবাদিক)