অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় কর্ণফুলী লঞ্চের চাপায় শিশুর দুই পা বিচ্ছিন্ন বিচারের দাবিতে মানববন্ধন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ রাত ০১:৩১

remove_red_eye

৩৪০

ভোলায় কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের চাপায় মো. হামিদুর রহমান স্বাধীন নামের ছয় বছর বয়সী এক শিশুর দুই পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।  রবিবার বেলা ১১টার দিকে ভোলা  প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোক অংশগ্রহন করেন।

এ সময় শিশু মো. হামিদুর রহমান স্বাধীনের পিতা মো. হাসান আলী খান অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ ফেব্রæয়ারি ভোলার ইলিশাঘাট থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে করে স্বপরিবারে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। লঞ্চটি কালিগঞ্জ ঘাটে ভিড়ে। এ সময় লঞ্চের স্টাফদেরকে পন্টুনের সাথে লঞ্চটি বেঁধে সিঁড়ি দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু তাঁরা লঞ্চটি ঘাটে না বেঁধে যাত্রী নামায়।

এ সময় হাসান আলী স্বপরিবারে লঞ্চ থেকে নামার সময় লঞ্চটি পিছনে বেগার দিয়ে আবার সামনে চালালে লঞ্চের ধাক্কায় তাঁর ছোট ছেলের মো. হামিদুর রহমান স্বাধীন পরে গিয়ে লঞ্চ ও পন্টুনের ফাঁকে দুই পা আটকে যায়। এতে তাঁর শরীর থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে যায়। পরে লঞ্চটি সেখানে না দাঁড়িয়ে দ্রæত ঘাট ত্যাগ করে। এ অবস্থায় আহত হামিদুর রহমান স্বাধীনকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিমে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া।

বর্তমানে শিশু হামিদুর রহমান স্বাধীন দুই পা হারিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা এ ঘাতক লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, এর আগেও কর্ণফুলী লঞ্চের বেপরোয়া চলাচল ও অদক্ষ স্টাফদের কারনে ভোলার অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছে। সে সময় লঞ্চ কর্তৃপক্ষের যথাযথ বিচার না হওয়ায় তাঁরা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমরা চাই এদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।

পরে তাঁরা ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।





আরও...