অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় নতুন জাতের বেগুন চাষে কৃষক সেলিমের সফলতা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ রাত ০৯:৩৯

remove_red_eye

৪৭৯




জুয়েল সাহা বিকাশ : ভোলায় প্রথম বারের মত নতুন একটি জাতের বেগুন চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মোঃ সেলিম (৩৫) নামে একজন কৃষক। ক্ষেতে বেগুনের ব্যাপক ফলন হওয়ায় খুশি তিনি। তার ক্ষেতের ওই বেগুনের এক একটির ওজন ১/২ কেজি পর্যন্ত। বেগুনগুলো দেখতে লাউ এরমত হওয়ায় কৃষক সেলিমের গ্রামের বাসিন্দারা এটি নাম দিয়েছেন লাউ বেগুন। আর ওই বেগুন দেখতে প্রতিদিন তার গ্রামসহ আশা পাশের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে কৃষক ও স্থানীয়রা ভিড় জমাচ্ছেন।
সরেজিমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিরহাট গ্রামের কৃষক মোঃ সেলিম প্রায় ৮ বছর ধরে কৃষি কাজ করছেন। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ৬৫ শতাংশ জমিতে দেশী বেগুন, টমেটো, শষা, ফুল কপি, বাধা কপি, সোয়াবিন চাষ করেন। কিন্তু তেমন সফলতা অর্জন করতে পারছিলেননা তিনি। তবে এবছর বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করে সফল তিনি।
কৃষক মোঃ সেলিম জানান, প্রতি বছর দেশী বেগুন করে আসলেও লাভবান হতে পারিনা। এবছর কৃষি বিভাগ থেকে আমাকে বারি-১২ জাতের বেগুনের বীজ ও সার দিয়েছে চাষ করার জন্য। আমার ৬৫ শতাংশ জমির মধ্যে ২০ শতাংশ জমিতে বারি-১২ জাতের বেগুন রোপন করি। আর বাকী জমিতে টমেটো,  ফুল কপি, পাতা কপি ও সোয়াবিনের চাষ করি। ২০ শতাংশ জমিতে আমার ২/৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৩ মাস ১০ দিনের মধ্যে বেগুনগুলো ১ কেজি আর কোন কোনটি দেড় কেজি আবার কোনটি ২ কেজি ওজন হয়। পরে ক্ষেত থেকে বেগুন তুলে পাইকারী বাজারে বিক্রির জন্য প্রথম দিন নিয়ে গেছে পাইকাররা দেখে অবাক হয়। এবং প্রথম দিন কেজি প্রতি বেগুন ৬০ টাকা দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে পাইকারী বাজারে ৪০/৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ১২ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছি। ক্ষেতে এখনও যে পরিমাণ বেগুন রয়েছে তাতে আরো ২০ হাজার টাকারও বেশি বিক্রি করতে পারবো। এবছর প্রথম চাষ করায় বুঝতে পারেনি এত লাভজনক এটি। আশা আছে আগামী বছর এক একর জমিতে এ বেগুন চাষ করবো।
ভোলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাসান ওয়ারিসুল কবীর জাগো নিউজকে জানান, ভোলা জেলায় এবারই প্রথম বারি-১২ জাতে বেগুন চাষ হয়েছে। এবছর আমরা ভোলার সাত উপজেলায় ২ শ’ জন কৃষককে আমরা বিনামূল্যে বীজ ও সার দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করিয়েছি। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৫০ জন কৃষক রয়েছে। আমরা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেছি সব কৃষকরাই সফল হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ওই কৃষকদের সফলতা দেখে নতুন করে অনেক কৃষক আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করার জন্য। আমারা আশা করছি আগামীতে কয়েক হাজার কৃষকদের দিয়ে এ জাতের বেগুন চাষ করবেন।