অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার ইলিশায় রাতের লঞ্চ যাত্রীদের অটো থামিয়ে নগদ টাকা ও স্বার্ণালঙ্কার ছিনতাই


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ রাত ১০:২০

remove_red_eye

৫১১




২ নারীকে মারধর  নির্যাতন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার ইলিশায় রাতে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের অটো থামিয়ে  জিম্মি করে ও মারধরসহ নির্যাতন করে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করার অভিযোগ যাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে ইলিশা ব্যরিষ্টার কাচারি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের স্বীকার আহত ২ নারী বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু এঘটনা পুলিশকে জানালেও তারা এখনো কোন ছিনিতাইকারীকে আটক করতে পারেনি।
বুধবার (০৯ ফেব্রæয়ারী) সকালে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া ভোলা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা বৃদ্ধা রাবেয়া বিবি (৫০) নিজের সর্বস্ব হারিয়ে অশ্রæ ভেজা চোখে হাউমাউ করে বলেন ,“আমার টাকা পয়সা সব লইয়াগেছে বাবা, আমরা গরিব মানুষ আমার মাইয়াডার ইজ্জত শেষ, আমার কেউ নাইরে বাবা, আমার সব লইয়া গেছেরে বাবা। আমার  জিনিস টাকা পয়সাডি একটু উদ্ধার কইরা দেরে বাবা। ”
তিনি আরো জানান, তার মেয়ে উম্মে কুলসুম ও দুই বছর বয়সের নাতনিকে নিয়ে ঢাকার গাবতলী বেড়ীবাধঁ এলাকায় থাকেন।মেয়ে উম্মে কুলসুম ও তিনি স্থানীয় এক গার্মেন্সে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রাবেয়া বিবির আরেক মেয়ে থাকেন সুদূর প্রবাস সৌদিআরবে। বাড়ি জমি কিনে ঘর তোলার জন্য প্রবাসী মেয়ের পাঠানো টাকা ও নিজের জমানো টাকা নিয়ে তিনি মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রæয়ারী) বিকেলে ঢাকার সদরঘাট থেকে তাসরিফ লঞ্চে ভোলার ইলিশার উদ্দেশ্য রওনা দেন। রাত ১২ টায় ভোলার ইলিশ লঞ্চঘাটে এসে পৌঁছালে ঘাট থেকে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় ১৫০ ভাড়া করে নিজ বাড়ির পথে রওনা দেন। ইলিশা ঘাট থেকে কিছুদূর আসার পরে ব্যরিষ্টার কাচারি নামক স্থানে এক দল দূর্বৃত্তর কবলে পরেন তারা। তিনি জানান, দুই মোটরসাইকেলে ছয় ব্যক্তি তাদের রিকশা গতিরোধ করে রিকশার ড্রাইভারের গলায় ছুরি ধরে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাদের দুইজন মিলে জোরজবরদস্তি করে আমার মেয়েকে  পাশে বাগানে মধ্যে নিয়ে যায়। বাকিরা আমাদের ব্যাগ হাতিয়ে আমার মেয়ের পাঠানো ৪০ হাজার টাকা ও ছোট মেয়ে কুলসুম ও আমার জমানো ৩০ হাজার মোট ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।  এ সময় আমার মেয়ের গলার চেইন,  ও কারনে দুল, আমার হাতের বালা এতে প্রায় দেড় বড়ি ওজনের সোনার গহনা নিয়ে যায়। এসময় আমরা ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা চলে আসে। স্থানীয়দের উপস্থিতে তারা পালিয়ে যায় এবং তারা বলতে থাকে মহসিন মানুষ জন আসতেছে পালা। মেয়ে উম্মে কুলসুম বলেন, মাঝ রাস্তায় আমাদের রিকশা গতিরোধ করে আমাকে জোরজবরদস্তি করে পাশে বাগানে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে। আমি রাজি না হওয়ার আমার এলোপাতাড়ি লাথি ও মারধর করে এক পর্যায়ে আমার কারনে দুল ও গলার চেইন যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তারা জানান, মঙ্গলবার রাতে ঘটনার পরপরই ইলিশ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বিষয়টি জানালে তারা কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ভোলা সদর থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে রাতেই ভোলা সদর মডেল থানায় ডিউটি অফিসার বরাবর বিষয়টি জানালে। থানা পুলিশ তাদের চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠান। এবং ভোলা সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রাবেয়া বিবি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ বিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে  খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত করছেন।





আরও...