অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভিক্ষা করতে চাইনা প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরি চাই


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৫ই আগস্ট ২০১৯ রাত ১০:২৯

remove_red_eye

১১৩৩

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন ।। ভোলার চরফ্যাশন আবদুল্লাপুর ইউনিয়নের খোরশেদ আলমের ছেলে বরিশাল সরকারী কলেজের এমএ প্রথম বর্ষের ছাত্র পঙ্গু আবু জাফর। সে রিক্সা চালক অসহায় বৃদ্ধ বাবার প্রথম সন্তান। একাধিক দালাল চক্র ভিক্ষা বৃত্তিতে তার পরিবারকে উৎসাহ যোগালেও বাবা-মা রাজি হয়নি। তাদের স্বপ্ন ছেলেকে পড়ালেখা করাবে। পড়ালেখা শেষে সরকারী চাকুরী করবেন আবু জাফর। বিএ পাস করে যখন এমএ অধ্যায়নরত ঠিক তখনই অসুস্থ্য বাবা-মাসহ ছোট তিন ভাইকে নিয়ে অভাবের কারনে চরম দুর্বিষহ যন্ত্রনার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। পরিবারের এই দুঃসময়ে পঙ্গু আবু জাফর মমতাময়ী মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট প্রতিবন্ধী কোটায় একটি চাকুরী পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন।

পঙ্গু আবু জাফর জানান ৪ বছর বসয়ে আমার টাইফয়েট জ্বর হয়। দীর্ঘ ৬ মাস চিকিৎসা করার পর জ্বর ভাল হলেও দুটি পা নষ্ট হয়ে যায়। সেই থেকে আমি হাঁটতে পারিনা, দাঁড়াতে পারিনা, দুই হাতে জুতা পরে হাঁটু দিয়ে চলাফেরা করি। আমাকে ভিক্ষা বৃত্তিতে নেয়ার জন্য একাধিক দালাল এসেছে। আমি ভিক্ষাবৃত্তি করে যা উপার্যন করব তার অর্ধেক আমার পরিবার পাবে আর অর্ধেক দালালরা নিবে। আমার বাবা মা রাজি হয়নি। দালালদের যন্ত্রনায় আমি প্রাথমিক শিক্ষা শেষে আমিনাবাদ খালার বাড়ি চলে আসি। তারপর আমিনাবাদ এ. মোতালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এস.এস.সি পাশ করে দুলারহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হই। সেখান থেকে এইচ.এস.সি ও বি.এ পাস করি। আমি বর্তমানে বরিশাল সরকারী কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে এম.এ ১ম বর্ষে অধ্যায়নরত। আমার বাবা পূর্বে রিক্সা চালাতেন। বর্তমানে বাবা ও মা দু’জনই অসুস্থ্য, ছোট ভাইদেরকে অভাব অনটনের কারনে স্কুলে পাঠাতে পারেনি। এক ভাই রাজ কাজের যুাগালী, অন্য ভাই রং মিস্ত্রী কাজ শিখতেছে। সংসারের বড় সন্তান হিসেবে বাব-মার ঔষধতো নাই এক মুঠো খাবার যোগাতে ব্যর্থ আমি।

ইতিমধ্যে খাদ্য অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী কোঠায় চাকরির জন্য আবেদন করেছি। আমি খুবই চিন্তিত, আমার মতো গরীব ও পঙ্গু ছেলের যে কোন মাধ্যম ছাড়া চাকরি পাওয়া কি সম্ভব?

আবু জাফর কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার অসহায় পরিবারের খাবার যোগানো এবং আমার অসুস্থ্য বাবা-মায়ের চিকিৎসা ও ঔষধ কেনার জন্য আমাকে প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরী দেওয়ার প্রয়োজনীয় সু-ব্যবস্থা গ্রহনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা প্রার্থনা করছি।