অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে ১৩দিনেও খোঁজ মিলেনি এনজিও কর্মীর


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ই আগস্ট ২০১৯ রাত ১০:৪৭

remove_red_eye

৭৫৬

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন : ভোলার চরফ্যাশনে নিখোঁজের ১৩ দিনেও এনজিও কর্মী হেলাল উদ্দিনের সন্ধান মেলেনি। গত ২৫ জুলাই (বৃহষ্পতিবার) কর্মস্থল দুলারহাট থানার চর মোতাহার থেকে তিনি রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হন । চরফ্যাসন থানার জিন্নাগড় গ্রামের কাঞ্চন মাঝির ছেলে হেলাল উদ্দিন পরিবার উন্নয়ন সংস্থা ( এফডিএ)’র চর মোতাহার শাখার মাঠ কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হেলাল উদ্দিন নিখোঁজের ঘটনায় ৩০ জুলাই দুলারহাট ও চরফ্যাশন থানায় পৃথক দু’টি জিডি করা হয়েছে।
হেলাল উদ্দিন নিখোঁজের ঘটনায় পরিবার উন্নয়ন সংস্থা’র সহযোগি সমন্বয়কারী মো: হারুন গত ৩০ জুলাই দুলারহাট থানায় একটি সাধারণ ডাায়রি করেছেন। ওই ডায়েরীতে দাবী করা হয়, ২৫ জুলাই মায়ের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে (২৬ জুলাই শুক্রবার থাকায়) ২৭ জুলাই একদিনের ছুটিতে যান হেলাল উদ্দিন। ছুটি হতে ওইদিনই (২৭ জুলাই) বিকেলে অফিসে যোগদানের কথা থাকলেও তিনি যোগদান করেননি। যোগদান না করায় শাখা ব্যবস্থাপক আবু সাঈদ ফোনে যোগাযোগ করলে মায়ের চিকিৎসার জন্য তিনি ( হেলাল উদ্দিন) ঢাকায় যাওয়ার কথা জানান এবং পরদিন (২৮ জুলাই) বিকেলে অফিসে যোগদানের কথা জানান। তারপর থেকে হেলাল উদ্দিনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এফডিএ হতে অভিযোগ করা হয়েছে হেলাল উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের অর্থ তছরুপ করে আত্মগোপনে রয়েছে।
অপরদিকে একই দিন (৩০ জুলাই) নিখোঁজ হেলাল উদ্দিনের বাবা মো. কাঞ্চন মাঝি চরফ্যাসন থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছেন। (যার নং ১১১৩) । সাধারন ডায়রিতে তিনি দাবী করেন, হেলাল উদ্দিন অফিস থেকে বাড়ি আসার কথা বলিয়া ছুটি নিলেও সে বাড়িতে আসেনি। অনেক খোঁজা খুজি করিয়াও তার সন্ধান মেলেনি। অফিস থেকে বাড়ি আসার পথে অজ্ঞাত যেকোন স্থান থেকে সে নিখোঁজ হয়েছে বলে জিডিতে আশংকা করা হয়েছে।
পরিবার উন্নয়ন সংস্থা’র প্রধান হিসাব রক্ষক জাহিরুল হক নান্টু সংবাদ সম্মেলন নিখোজ কর্মী হেলালের বিরুদ্ধে এফডিএ’র প্রায় ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে যথাযথ প্রমানসহ সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, হেলাল উদ্দিনের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় একাধিক জিডি করা হয়েছে। জিডির সূত্র ধরে হেলাল উদ্দিনকে উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।