অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় অর্ধলক্ষেরও বেশি অসহায় বৃদ্ধরা বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই আগস্ট ২০১৯ রাত ১১:৩৪

remove_red_eye

১২৪২

হাসনাইন আহমেদ মুন্না : ভোলায় অর্ধলক্ষেরও বেশি অসহায় বৃদ্ধ মানুষ বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে। ৭ উপজেলায় মোট ৫৭ হাজার ৪০৩ জন বয়স্ক ব্যাক্তি প্রতিমাসে ৫’শ টাকা করে পাচ্ছে। গত অর্থবছরে এই খাতে ৩৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সমাজের দুঃস্থ্য, দরিদ্র, অবহেলিত ও অক্ষম বৃদ্ধরাই সরকারের এই সাহায়তা পাচ্ছেন। সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এই কার্যক্রমে সমাজের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে।
সমাজসেবা কর্মকর্তারা জানান, সমাজের দরিদ্র ও অসহায় বয়স্ক মানুষের জন্য সরকারের এ কার্যক্রমের পরিধী দিন দিন বৃদ্ধী পাচ্ছে। প্রতিবছরই ভাতার বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে মাসিক এ ভাতার পরিমানও বাড়ানো হয়েছে। আর সবচে সুবিধা হচ্ছে এখন আর ভাতার জন্য কষ্ট করে সমাজসেবা কার্যালয়ে আসতে হয়না। যথাসময়ে নির্ধারিত ব্যাক্তির ব্যাংক একাউন্টে গিয়ে ভাতার টাকা জমা হয়। তাই ভাতার টাকা তুলতে তাদের আর কোন ভোগান্তি পোহাতে হয়না। ফলে এই টাকায় উপার্জনে অক্ষম বৃদ্ধদের পরিবারে কদর ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম জানান, বয়স্ক ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে পুরুষদের ৬৫ বছরের বেশি ও নারীদের ৬২ বছরের অধিক বয়সকে নির্ধারন করা হয়েছে। প্রত্যেককে মাসে ৫’শ টাকা করে ৩মাস অন্তর অন্তর ১৫’শ টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দিন দিন সমাজের দুঃস্থ্য ও অবহেলিত বয়স্ক মানুষের জীবন মানের উন্নতী হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনীধীদের মাধ্যমে বয়স্কদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। উপজেলা চেয়ার‌্যানের সভাপতিত্বে তালিকায় নাম চুরান্ত হওয়ার পর প্রত্যেককে ১০ টাকার একাউন্ট খুলতে হয়। এরপর প্রতি ৩মাস পর পর নির্ধারিত ব্যাক্তির ব্যাংক হিসাব নম্বরে ১৫’শ টাকা জমা হয়ে যায়। এটি মূলত সামাজিক সুরক্ষামূলক কর্যক্রমের অংশ হিসাবে সমাজের অসহায় বৃদ্ধদের কল্যানে কাজ করছে।
সদর উপজেলার দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালীয় গ্রামের বাসিন্দা ফয়েজ হোসেন (৭০) বলেন, তিনি ছেলের সংসারে থাকেন। ছেলের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালোনা। তাই ভাতার টাকায় ঔষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র কিনেন তিনি। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।