অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় এ এইচ এম জাহাঙ্গীর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯শে জানুয়ারী ২০২২ রাত ০৯:২৩

remove_red_eye

৫৩৯



বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এ এইচ এম জাহাঙ্গীর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২৯ জানুয়ারী-২০২২) বেলা ১১টায় মাদ্রাসা চত্ত¡রে এই আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মুনসুরের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি ছিলেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আটলান্টিক সিটির কাউন্সিল ম্যান নিউ জার্সি, ইউনাইটেড স্টেট অব আমেরিকার মোঃ হোসাইন মোর্শেদ। অনুষ্ঠানে ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক ও ভোলা নলিনীদাস হোমিওপ্যাথিক কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভোলা সোনালী ব্যাংকের এসপিও ম্যানেজার কবির আহমেদ, ভোলা পৌরসভার কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোঃ শাহে আলম, রেবা রহমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এমরান হোসেন, অবসর প্রাপ্ত কৃষি কর্মকতা ফরিদ উদ্দিন, ভোলা খাদ্য বিতানের চেয়ারম্যান এবিএম শাহাজান, সিকদার বাড়ী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল খালেক, ইসমাইল ফরাজী বাড়ী জামে মসজিদের খবিত মাওঃ জসিম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মোঃ কামাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোঃ হোসাইন মোর্শেদ বলেন, আমি দৈনিক ১৮ ঘন্টা কাজ করি। এর মধ্যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে পড়ি এবং আমার মায়ের সেবা করি। প্রায় ২৬ বছর আগে আমেরিকা গিয়েছে। সেখানে সততা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করেছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে বিগত ২৫ বছরে আমি মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, এ এইচ এম জাহাঙ্গীর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার বিষয়টি শ্রদ্ধেয় চাচা অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির ও কামাল হোসেন আমাকে অবগত করেছেন। আমি শুনেছি এই এলাকার মাদ্রাসার ছাত্ররা অনেক কষ্টে করে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাকে এই মাদ্রাসার জন্য কিছু করার জন্য বলেছেন। তাদের কথা শুনে আমি এখানে একটি ইসলামী কমপ্লেক্স করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমি এখানে এমন একটি ইসলামী কমপ্লেক্স নির্মান করবো যেখানে হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা, মসজিদ, বৃদ্ধাশ্রম ও কওমী মাদ্রাসা থাকবে। এখানে আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় সুব্যবস্থা গড়ে তুলবো। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। আগামী দিনেও যাতে বেশি বেশি ধর্মীয় ও জনকল্যাণমূলক কাজ করতে পারেন সে জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন মোঃ হোসাইন মোর্শেদ।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, আমেরিকা প্রবাসী মোঃ হোসাইন মোর্শেদ একজন ধার্মিক মানুষ। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করেন। আমেরিকায় থাকলেও দেশের প্রতি তার হৃদয়ের মায়ার টান রয়েছে। তিনি ইতিমধ্যে মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে অনেক সযোগিতা করেছেন। এই মাদ্রাসাটির উন্নয়নের কথা চিন্তা করে তিনি যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেটি অত্যান্ত প্রশংসার দাবী রাখে। আজ ছোট একটি মাদ্রাসা তার সহযোগিতায় বিশাল ইসলামী কমপ্লেক্সে রুপ নিয়েছে। তিনি বিশাল জায়গাজুড়ে যে ইসলামী কমপ্লেক্স নির্মান কাজ শুরু করেছেন তা হবে ভোলা জেলায় একটি শ্রেষ্ঠ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। হোসাইন মোর্শেদের এই মহতি উদ্যোগে বহু এতিম, অসহায় ছাত্ররা এখানে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ পাবে। এসময় বক্তারা এই ধর্মীয় কাজ আরো বেশি বেশি করতে পারেন সে জন্য হোসাইন মোর্শেদের জন্য দোয়া করেন।






আরও...