অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় করোনার টিকা নেয়া দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর নিবন্ধন ও সনদ অনিশ্চিত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬শে জানুয়ারী ২০২২ রাত ১০:৫৮

remove_red_eye

৪১২

অমিতাভ অপু II ভোলা জেলায় ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ  বুধবার শতভাগ নেয়া নিশ্চিত হলেও এদের কোন নিবন্ধন করা হয় নি। এদের মধ্যে ২৪ হাজার ৮৯৯ জন দ্বিতীয় ডোজও সম্পন্ন করেছে।  নিবন্ধন না হওয়ায় এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৮ জন শিক্ষার্থী টিকা নেয়ার কোন প্রমানপত্র পাচ্ছে না। পাচ্ছে না কোন সনদ। নিবন্ধন করা বা টিকার সনদ প্রাপ্তির বিষয়ে যেমনি সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকরা কিছুই জানেন না। তেমনি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারাও কোন নির্দেশনা পান নি। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছেও নেই সঠিক উত্তর।

 সিভিল সার্জন ডাঃ কেএম শফিকুজ্জামান জানান, যারা টিকা নিয়েছেন তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট স্কুল ও শিক্ষা বিভাগ মন্ত্রনালয়ে পাঠাবেন। মন্ত্রনালয় থেকে বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে টিকার নিবন্ধন ও সনদপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার কথা ছিল।  বর্তমানে কিছু শিক্ষার্থী স-উদ্যোগ জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে টিকা নিবন্ধন করেছে। কিন্তু  টিকা নেয়ার পর তা এন্টি করার বিষয়টি নিশ্চিত হয় নি। ফলে সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের পাশপাশি অভিভাবকরা।

জেলা শিক্ষা বিভাগ থেকে টিকা তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা শিক্ষা গবেষনা কর্মকর্তা নুর-ই- আলম সিদ্দিকী জানান, ১২ -থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয় গেল বছরের ১৩ নভেম্বর। ৩ মাস ১২ দিনের মধ্যে জেলার ৭ উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীকে  প্রথম ডোজ টিকার আওতায় আনতে পেরেছেন। কারা টিকা নিচ্ছে  তাদের জন্য শুধু প্রতিদিনের একটি রেজিস্টার রাখা হচ্ছে।  হাতে লেখা টিকা কার্ডের একটি কপিও রাখা হচ্ছে। কিন্তু নিবন্ধন করা বা টিকা প্রাপ্তির পর তা অন লাইনে নিশ্চয়ত করা , এমন কোন কাজ করার নির্দেশনা ছিল না।

এখন  পর্যন্ত কোন নির্দেশ পান নি বলেও জানান ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। জেলায় টিকার জন্য তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ভোলা সদর উপজেলায় ৪২ হাজার, দৌলতখানে ১৫ হাজার, বোরহানউদ্দিন  ২০ হাজার ৭৬৭ জন, লালমোহনে ২৫ হাজার, চরফ্যাশনে ৪৫ হাজার, তজুমদ্দিনে ৯ হাজার ৯৯৪ জন ও মনপুরা উপজেলায় ৬ হাজার ১শ জন। বুধবার বিকাল পর্যন্ত টিকা নিয়ে ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৮ জন।  এদের টিকা নিশ্চিত করতেও স্কুল স্কুল  চিঠি পাঠানো হয়। মঙ্গলবার জানান শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, প্রথম ডোজ শতভাগ নেয়া হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছে। 

জেলার সেরা স্কুল ভোলা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ছালেহউদ্দিন জানান, কারা টিকা নিয়েছে আর কারা নেয় নি, এমন কোন  প্রমানপত্র তাদের কাছেও নেই। কারণ এদের নিবন্ধনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি। এমন কি টিকা নেয়ার পর তা অন লাইন নিশ্চায়ন ( পোস্টিং) করা হয় নি। অপরদিকে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ফাইজারের টিকা নিয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ টিকাও সম্পন্ন করবে।

তাই দ্রæত এদের নিবন্ধন ও সনদ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান প্রধান শিক্ষকরা। অভিভাক পলাশ চ্যাটার্জী , ব্যাংকার আবু ইউছুফ জানান, নিয়ম অনুযায়ী তাদের মেয়েরা  দুটি টিকা  নেয়া হয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন হয় নি।  টিকার পোষ্টিং হয় নি। এটা কী ধরনের নিয়ম এমন প্রশ্ন তোলেন অনেক অভিভাবক।