অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় করোনার টিকা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩শে জানুয়ারী ২০২২ রাত ১১:৪৩

remove_red_eye

৫৮৫

আকতারুল ইসলাম আকাশ II ভোলায় করোনার টিকা নিতে আসা ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা দিয়েছে টিকাদান  কেন্দ্রে গুলোতে। ঠাসাঠাসি করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে করোনা সংক্রমণের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে ভোলার হাজার হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থী। রবিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলমান রয়েছে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি। জেলার ১ লাখ ৬৪ হাজার শিক্ষার্থীর ৭ উপজেলার ৭টি অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করছে।


সদর উপজেলায় নিয়মিত ২টি টিকাদান কেন্দ্র থাকার পরেও প্রতিদিন এই ২টি  কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। টিকাদান কেন্দ্র আর না থাকায় চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। নানা বিশৃঙ্খলার মধ্যে করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য টিকা নিতে এসে উল্টো করোনায় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা বাংলার কন্ঠকে জানান, তাঁরা টিকা নিতে এসে নানা   ভোগান্তিতে পড়ছেন। একদিকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেওয়া। অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানাতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বলছেন তাঁরা।শিক্ষার্থীদের সাথে আসা শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলছেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ যে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দিচ্ছেন। তা শিক্ষার্থীদের জন্য একদিকে যেমন কষ্টসাধ্য। অন্যদিকে ঠিক তেমন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অতি দ্রæত আরও কয়েকটি  টিকাদান কেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি সুশৃঙ্খলভাবে শিক্ষার্থীরা যেনো টিকা নিতে পারে সে ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।


তবে শিক্ষার্থীদের টিকার দায়িত্বে থাকা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, শনিবার পর্যন্ত জেলার ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৭ জন শিক্ষার্থীকে টিকার প্রথম ডোজ এবং ২০ হাজার ৭৪৫ জন শিক্ষার্থীকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদেরকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া সম্পূর্ণ হবে আশা করছেন তিনি।শিক্ষার্থীদের সামাজিক দুরত্বের বিষয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে টিকাদানের জন্য কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেওয়া হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদেরকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে বারবার বলা হচ্ছে। তবুও শিক্ষার্থীরা তা মানছেন না।এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে গিয়ে কাউকেই পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনের মাধ্যমে কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।