অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরায় প্রতারক আল আমিন হাওলাদারকে জেল হাজতে প্রেরণ


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২শে জানুয়ারী ২০২২ রাত ১০:১৪

remove_red_eye

৪৭৫

 ভোলার মনপুরায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা সেজে পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে চাকরী দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা আতœসাৎ করে আল-আমিন নামে এক প্রতারক। ওই প্রতারক কখন নিজেকে পরিচয় দেন পুলিশের অতিরিক্ত এসপি, আবার কখন সেনাবাহিনীর মেজর।

এভাবে গত এক বছর ভোলার মনপুরায় পুলিশের এ. এস. আই ও কনস্টেবল পদসহ সেনাবাহিনীতে চাকরী দেওয়ার নাম করে আনুমানিক ২৫ লাখ টাকার ওপরে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ। তবে টাকা পরিমান আরও বেশি হতে পারে বলে জানান তিনি।শনিবার সকাল ১০ টায় আটককৃত ভুয়া পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া প্রতারক আল-আমিন হাওলাদারকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় মনপুরা পুলিশের এস.আই সুবাসের নের্তত্বে একটি টিম চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার ইমামনগর সুপারিতলা থেকে ওই প্রতারককে আটক করে শুক্রবার সন্ধ্যায় মনপুরা থানায় নিয়ে আসে।

আটককৃত প্রতারক আল-আমিন হাওলাদার (৩২) ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানার বাসিন্দা শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে। ওই প্রতারক বড় কর্মকর্তা সেজে চারটি বিয়ে করেন।

জানা যায়, উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরফৈুজুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান তার শ্যালক রহিমকে পুলিশের এ.এস.আই ও অপর আতœীয় মাইনুদ্দিনকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ টাকা নেন ভুয়া পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া প্রতারক আল-আমিন হাওলাদার। পরে চাকরী দেওয়ার জন্য কখন ভোলা জেলা পুলিশ মাঠে, আবার রাজারবাগ পুলিশ মাঠে নিয়ে যার ওই প্রতারক। কিন্তু গত এক বছরও চাকরী হয় না। পরে শাহাজার বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করে।

পরে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় মনপুরা পুলিশের এস.আই সুবাসের নের্তত্বে একটি টিম চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার ইমামনগর সুপারিতলা থেকে ওই প্রতারককে আটক করে শুক্রবার সন্ধ্যায় মনপুরা থানায় নিয়ে আসে। আটককের খবর ছড়িয়ে পড়লে মনপুরা সহ তজুমুদ্দিন, চরফ্যাসনের বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকরী দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আসছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই সুবাস। এতে চাকরী দেওয়ার নামে প্রতারণার করে আতœসাৎ করা টাকার পরিমান ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, শনিবার ওই প্রতারককে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে চাকরী দেওয়ার নামে আরও অভিযোগ আসছে।