অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


চরফ্যাশনে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে বিনোদন কেন্দ্র গুলো


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ই আগস্ট ২০১৯ রাত ১১:১১

remove_red_eye

৮৯১

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন থেকে: ভোলার চরফ্যাশনে ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা ৮ দিনের ছুটি কাটাতে জ্যাকব টাওয়ার, শিশু পার্ক, বেতুয়া লঞ্চ ঘাট, মায়া ব্রীজ, খামার বাড়ী এবং কুকরী মুকরী সমুদ্র সৈকত এর টানে যান্ত্রিক শহরের মানুষগুলো ছুটে আসছে চরফ্যাশনে।
উপজেলা ঘুরে দেখা যায় ঈদকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে বিনোদন কেন্দ্র গুলো। বিশেষ করে দৃষ্টি নন্দন জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল ডিজিটাল শিশু পার্ক, ফ্যাশন স্কয়ার, খামার বাড়ী, বেতুয়া লঞ্চ ঘাট, মায়া ব্রীজসহ অসংখ্য বিনোদন কেন্দ্র।
এছাড়াও কুকরী মুকরীতে রয়েছে সবুজের মিতালী। সেখানে হরিনের ছোটাছুটি আর বাহারি বৃক্ষের সমারোহ। পাখি দেখার টাওয়ার আর রেস্ট হাউজ দেখে মন জুড়াবে ভ্রমন পিপাসুদের। পাখিদের কলোতান মুগ্ধ করবে আগতদের।

পৌর মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, এবারের ঈদুল আযহার আগেই বেশ পর্যটক লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দকে আরও দ্বিগুন করতে শহরের লোকদের উপস্থিতি চোখে পরার মতো। আমি আশা করি, ঈদের আগে ও পরে বেশ কিছু দিন পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত থাকবে চরফ্যাশন উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
কুকরী মুকরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম মহাজন জানান, ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিতে এখানে ছুটে আসেন হাজারো পর্যটক। দ্বীপরানী চরফ্যাশনকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। তিন দফায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়ে পর্যটকদের জন্য চর কুকরী মুকরীকে কুইন অব আইল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ইউরোপ, আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, এশিয়াসহ বিশ্বের প্রতিটি কোনায় ছুটে চলা মানুষটি চরফ্যাশনকে কেন্দ্র করে শিক্ষা ও পর্যটনবান্দব নগরী গড়ার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই পথেই এগিয়ে চলেছে চরফ্যাশনের কুকরী মুকরী, ঢালচর, তারুয়া, শিবচরসহ অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র।
কুকরী মুকরী ঘুরে আসা পর্যটক ডাঃ মাহবুব কবির বলেন, এই চরে রয়েছে অন্যতম বৃহৎ বন্যপ্রাণী। অভয়ারন্য ম্যানগ্রোভ বনের অপূর্ব সৌন্দর্য পর্যটকদের বিস্ময় করে তুলবে। বনের ভেতরে এঁকে বেঁকে গেছে স্বর্পিল লেখ। আছে বালুকাময় নদীর তীর ও সি-বিচ। চরফ্যাশনের এই পর্যটন কেন্দ্র গুলো ভোলা জেলাকে আলাদা পরিচয় দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সকল পর্যটকদের কে একবার হলেও চরফ্যাশনের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে আসার অনুরোধ করছি। অবশ্যই আপনাদের ছুটির দিনগুলো ভাল কাটবে।