অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় আবারও উদ্ধার হলো সংকটাপন্ন হিমালয়ী শকুন


অচিন্ত্য মজুমদার

প্রকাশিত: ১৬ই জানুয়ারী ২০২২ রাত ১১:২৩

remove_red_eye

৩৪৮



অচিন্ত্য মজুমদার : ভোলায়  একটি শকুন উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। রবিবার দুপুরে ভোলার সদর উপজেলা ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তেরমুন্সি এলাকা থেকে শকুনটি উদ্ধার করে বন বিভাগ। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শকুনটিকে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনে অবমুক্ত করা হবে। শকুনটি প্রায় সংকটাপন্ন হিমালয়ী গৃধিনী  প্রজাতির।  এ শকুন হিমালয় ও পাহারি অঞ্চলে থাকে । এনিয়ে গত এক সপ্তাহে এ নিয়ে  দুটি শকুন ভোলা থেকে উদ্ধার করা হলো।
ভোলা বনবিভাগের বণ্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শকুনটি উড়তে উড়তে  ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের  মাঝিবাড়ি সংলগ্ন পশ্চিমের বিলে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় কৃষক সেলিম সিকদার অসুস্থ শকুনটিকে তুলাতলি বাজারে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল সেখান থেকে শকুনটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভোলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পাশাপামি খাবার-দাবার দিয়ে সুস্থ করে শকুনটিকে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনে অবমুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি। শকুনটির ওজন ৬/৭ কেজি। ডানার দৈর্ঘ প্রায় আড়াই ফুট করে। শকুনটি প্রাপ্ত বয়স্ক ।  এর আগে গত ১০ জানুয়ারি ভোলার লালমোহন উপজেলা থেকে একই  প্রজাতির আরো একটি শকুন উদ্ধার করে বন বিভাগ।
ওডাইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর ও বন্যপ্রাণী গবেষক সামিউল মেহেসানিন
ইমেইলের মাধ্যমে শকুটির ছবি দেখে এটিকে হিমালয়ী শকুন (ঐরসধষধুধহ এৎরভভড়হ) বা হিমালয়ান গৃধিনী বলে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, হিমালয়ী গৃধিনী প্রজাতির এই শকুনগুলো বাংলাদেশে সচারাচর দেখা যায় না। উত্তরে প্রচন্ড শীতের কারণে হিমালয় থেকে শকুনটি খাবারের সন্ধানে ভোলায় এসেছে। এ প্রজাতির অধিকাংশ শকুন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে বেশি দেখা যায়। কিছু কিছু শকুন পথ ভুলে দক্ষিণাঞ্চলে চলে যায়। এসময় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে খাবার না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। কয়েক দিন পর্যাপ্ত খাবার পেলে শকুনটি আবার তার আবাসস্থলে ফিরে যেতে পারবে বলে জানান তিনি।