অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ঈদের আগের রাতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান দুই আসামী পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত দেশীয় বন্দুক ,দা ও গুলি উদ্ধার


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ই আগস্ট ২০১৯ দুপুর ০১:৪৩

remove_red_eye

৬৯৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষন মামলার প্রধান দুই আসামী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের বেিেড় বাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনা স্থল থেকে পুলিশ একটি দেশীয় বন্ধুক ও গুলি ও একটি খোসা,২টি বগিদা উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কামাল মিস্তির ছেলে মোহরী মঞ্জুর আলম (৩০) ও সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (২৫) । ধর্ষিতার পিতা অভিযোগ করেন, এ ঘটনার সাথে আরো অনেকে জড়িত। ডিবি পুলিশের সদস্য রাসেল আসামীদের দিয়ে দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করতো। এছাড়াও ধর্ষনকারী আলামিন ও মঞ্জু নিহত হওয়া তারা সরকার ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জাানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাত প্রায় ৩ টার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ রাজাপুর এলাকার নদীর র্তীর সংলগ্ন এলাকায় বন্ধুক যুদ্ধে দুই যুবক নিহত হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সকালে খবর পেয়ে ধর্ষন মামলার বাদী নিহত ২ যুবককে সনাক্ত করেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত রবিবার (১১ আগস্ট) পবিত্র ঈদুলি আযহার আগের রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চর শিপলী গ্রামে তার ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়–য়া (১২) কন্যা ঈদ উপলক্ষে মেদেহী দিয়ে সাজতে যায় তাদের পাশের ঘরের মাহাফুজের স্ত্রী লিজা বেগমের কাছে । ওই সময় মাহাফুজের ভাড়াটে আদালতের মোহরী আল আমিন ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় মঞ্জুল আলমের স্ত্রী ঘরে না থাকায় ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায়। ঘরে নিয়েই মঞ্জু ও তার সহযোগী রিক্সা চালক আল আমিন কিশোরীকে হাত পা মুখ বেধে পালাক্রমে ধর্ষন করে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে আশংকা অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ এলাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মো: কায়সার আজ বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং এ জানান, মঙ্গলবার রাতে রাজাপুরে পুলিশ টহল দিচ্ছিলো। জলদস্যুদের সাথে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়। এ সময় পুলিশেরর উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা গুলি ছুড়ে। এতে পুলিশ সরকারি জানমাল রক্ষার জন্য পাল্টা গুলি করে। ওই সময় তৃ-মুখি বন্ধুক যুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে জলদস্যুরা একটি ট্রলার দিয়ে মেমেন্তিদ গঞ্জের দিকে পালিয়ে যায়। পরে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ২ জন নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের তাৎক্ষনিক এলাকার মানুষ সনাক্ত করতে পারেনি। তাদেল লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরে তাদের কে একটি ধর্ষন মামলার বাদী তাদের সনাক্ত করার পর নিশ্চিত হওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষন,মাদক ও জলদস্যুতার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পুলিশ সুপার আরো জানান, বন্ধুক যুদ্ধের ঘটনায় পুলিশ ৭ রাউন্ড চাইনিজ ও ৫ রাউন্ড সট গানের গুলি ছুড়ে। এব্যাপারে থানায় একটি হত্যা ও অস্ত্র মামলা করা হবে। এছাড়া অভিযুক্ত ডিবির পুলিশ রাসেল নামে কেউ নেই বলে জানান। যদি রাসেল নামে কেউ থেকে থাকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।