অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় দোকান কর্মচারীকে আটকে রেখে নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯শে আগস্ট ২০১৯ রাত ১১:২৫

remove_red_eye

৬৫৬

জুয়েল সাহা বিকাশ : ভোলায় একটি মিষ্টির দোকানের কর্মচারীকে ৮ দিন আটকে রেখে নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে ওই কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত দোকান কর্মচারী দুলাল মালী (৫০) বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বারের চর গ্রামের ঝন্টু মালীর ছেলে।
নিহতের স্ত্রী অঞ্জু রানী অভিযোগ করে জানান, আমার স্বামী দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ভোলার বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে মিষ্টির কারিগর হিসেবে কাজ করে আসছিল। সে কারণে আমরা গত ১২ বছর ধরে কাজ করে সে সুবাধে আমরা ভোলা পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের কালিখোলায় এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে বসবাস করে আসছি।
সে ঘুইংগার হাট বাজারের আল মদিনা মিষ্টির দোকানের কাজ করতো। ওই দোকানের মালিক তাকে গালমন্দ করার কারণে আগস্ট মাসের শুরুতে সে ওই দোকানের চাকরি ছেড়ে ভোলার খেয়াঘাট এলাকার আরেকটি মিষ্টির দোকানে কাজ শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই আল মদিনা দোকানের মালিক মোঃ কামাল হোসেনের গত ৯ আগস্ট আমার স্বামীকে খেয়াঘাট থেকে ধরে নিয়ে তার আবাসিক হোটেলের একটি ঘরে হাত পা বেঁধে বন্ধ করে রাখে।
এতে আমরা অনেক দিন তাকে খোঁজাখেঁজি করে কোন খবর পায়নি। পরে ১৬ আগস্ট রাতে দোকানের এক কর্মচারীর সহযোগিতায় তার মোবাইল থেকে আমাকে ফোন করে তাকে আটকে রাখে নির্যাতনের খবর দেয়। এবং পুলিশ নিয়ে তাকে উদ্ধার করতে বলে। ওই রাতেই আমি দৌলতখান থানার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসি।
এসময় তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহৃ ছিল। এবং সে খুব অসুস্থ্য ছিল। টাকার অভাবে তাকে আমি হাসপাতালে ভর্তি করতে পারেনি। তাই বিনা চিকিৎসায় আমার স্বামী আজ সোমবার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, তার স্বামী তাকে মৃত্যুর আগে নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে গেছে। তার স্বামী বলেন আমি কামালের দোকানের চাকরি কেন ছেড়ে দিয়েছি। হিন্দু হয়ে এত সাহস পাই কেমন করে এ কথা বলে প্রতিদিনই কামাল ও তার ছোট ভাই রট ও লাঠি দিয়ে মারধর করতো। তিনি ওই নির্যাতনকারী কামাল হোসেনের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেন।
এদিকে অপর একটি সূত্র জানায়, নিহত দুলাল মালীর কাছে আল মদিনা মিষ্টির মালিক ১৬ হাজার টাকা পাওনা ছিলো। ওই টাকার জন্য বিভিন্ন সময় চাপ দেয়। তবে এ ব্যাপারে দোকান মালিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দৌলতখান থানার ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, আমরা গত কয়েকদিন আগে ওই দোকান কর্মচারীকে উদ্ধার করেছি। সে অসুস্থ্য ছিল।
তিনি আরো জানান, নিহতের লাশ ভোলা সদর হাসপতালে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। আমরা আসমীকে আটকের চেষ্টা করছি। তবে এব্যপারে এখনো কেউ মামলা করেনি।