অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে এনজিও কর্মীকে অটোচালকের অপহরণ চেষ্টা


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২শে নভেম্বর ২০২১ রাত ১০:৩০

remove_red_eye

৪৩৬



দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখানে এক অটো রিক্সা (ইজিবাইক) চালকের বিরুদ্ধে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বনির্ভর বাংলাদেশ পরিচালিত সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সাবেক এক নারী কর্মীকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জামাল মৃধা বাড়ির সামনের রাস্তায়। উচ্চ মাধ্যমিক পাস সোনিয়া নামে ওই যুবতী একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের শাহজাহানের মেয়ে।
দৌলতখান হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাতে কাতরাতে সোনিয়া বলেন, বুধবার সকালে আমি দলিল উদ্দিন খায়ের হাট থেকে কয়েকটি কলম কিনে পায়ে হেটে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় আলী আশরাফ কলেজ সংলগ্ন কয়সরুদ্দিন বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেকের ছেলে অটো চালক হাসনাইন আমাকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়ার কথা বলে অটোতে তুলে নেয়। কিছুদুর যাওয়ার পর সে আমাকে অজ্ঞাত স্থানে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে দ্রæতগতিতে ইজিবাইক চালাতে থাকে। আমি তাকে ইজিবাইক থামাতে বললে সে আরো দ্রæত গতিতে চালাতে থাকে। তার উদ্দেশ্য খারাপ বুঝতে পেরে আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত ইজিবাইক থেকে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ি। এর পর আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি ভোলা সদর হাসপাতালে।
সোনিয়ার বাবা সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সাবেক কর্মী শাহজাহান বলেন, আমার দ্বিতীয় মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী খাদিজাকে অটো চালক হাসনাইন বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। তার কাছে পাত্তা না পেয়ে আমার বড় মেয়ে সোনিয়ার ওপর প্রতিশোধ নিতে অটো চালক হাসনাইন সোনিয়াকে অপহরণ চেষ্টা চালায়। সোনিয়া চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে অপহরণকারীর হাত থেকে বাচঁতে গিয়ে এখন তার জীবন সংকটাপন্ন। তাকে ভোলা হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসা দেয়ার সুস্থ না হতেই রোববার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। রোববার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে পূণরায় দৌলতখান হাসপালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লেখাপড়া না জানা অটোচালক হাসনাইন সোনিয়ার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন। সোনিয়া অবশ্য এ দাবি প্রত্যাক্ষাণ করেন।