অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ছত্রাক নাশক কিটনাশক ব্যবহারে ফসলের ক্ষতি


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২শে নভেম্বর ২০২১ রাত ১০:১৭

remove_red_eye

৮৩৯



ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ঔষধ কোম্পানী

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার রাজাপুর গ্রামে ছত্রাক নাশক ঔষধ 'ভালকান' ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে দাড়িঁয়েছে ঔষধ কোম্পানি। সোমবার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ডিলার, রিটেইলার ও কোম্পানির প্রতিনিধি সরেজমিন পরিদর্শণ করেন। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা যাতে দ্রত তার  ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সে জন্য প্রণোদনা হিসেবে বিনা মূল্যে বীজ ও সার ঔষধের ব্যবস্থা করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ মাঠ পরিদর্শণ শেষে সংশ্লিষ্ট ঔষধ কোম্পানীর কর্মকর্তারা জানান, মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ ব্যবহারের কারণে ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য  কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ক্ষেতে প্রয়োগকৃত ঔষধের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।   এদিকে স্থানীয় কৃষকরা জানান, দীর্ঘ দিন তারা ছত্রাক নাশক ভালকান ব্যবহার করে উপকার পাচ্ছেন। এবারও ওই মাঠে অন্যান্য কৃষকরা ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন। কিন্তু কি করণে মাত্র তিনজন কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে তা বুঝতে পারছেন না। এদিকে কৃষি বিভাগ, ঔষধ কোম্পানী, ডিলার, রিটেইলারসহ সকলের সহযোগিতা পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক জাকির হোসেন, তার ভাই জাহাঙ্গির হোসেন এবং লোকমান মাতব্বর তিন একর জমিতে শসা, চিচিঙ্গা এবং কড়লা চাষ করেন। গত ২৪ নভেম্বর এ্যাথারটন ইম্ব্রুস কোম্পানি লিঃ এর ছত্রাক নাশক 'ভালকান' ব্যবহার করেন। পরদিন ওই ক্ষেতের সকল চারাগাছ কুকড়ে এবং পুড়ে যায়। কৃষকরা জানান এতে তাদের প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে কৃষি বিভাগ ও ঔষধ কোম্পানির লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ মাঠ পরিদর্শন করেন। এসময় তারা কৃষকদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।