অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ : আহত-২৫


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৭ই নভেম্বর ২০২১ রাত ০৯:১৮

remove_red_eye

৪৪৯


দৌলতখান প্রতিনিধি :  ভোলার দৌলতখান উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে চরপাতা ইউনিয়নে দুই মেম্বারপ্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৮টি মটরসাইকেল ও একটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার সময় সংর্ঘষে মোহনা টিভির ভোলা জেলা প্রতিনিধি জসিম রানা, দৈনিক সংবাদ সকাল পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি নিরব হোসেনসহ উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় চরপাতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের  কেরানী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি একে অপরকে দায়ী করছে। বর্তমানে ওই এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

মেম্বার প্রার্থী নুরে আলমসহ তার কর্মী সমর্থকরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চরপাতা ২ নং ওয়ার্ডের কেরানি বাজারে তাদের একটি মিছিল বেড় হয়। এসময় সেলিম মেম্বারের নেতৃত্ব মানিক, শহিদ, আমজাদ, নুরনবী, জসিম, আজজল, ছেলামত, শামছু, ছিদ্দিকসহ ২০/২৫জনের ্একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জি হয়ে  মেম্বার প্রার্থী নুরে আলমের মিছিলের  কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের নির্বাচনী অফিসও মটর ভাংচুর করে। এসময় ব্যাপক সংর্ঘষ হয় এতে রাবেয়া,মো: ইউনুস,শাহবোরনী,বিবি জলেকা ও জামাল বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতরদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। নুরে আলম অভিযোগ করে বলেন,  মোরগ প্রতীকের সেলিম মেম্বার শুরু থেকে আলমকে নির্বাচন তেকে সড়ে দাড়ানোর জন্য তাকে হুমকি ধামকী অব্যাহত রেখেছে। সেলিমের পালিত ক্যাডার বাহিনী আলমের প্রচার কাজে বাঁধা, প্রচার মাইক ভাংচুর ও পোষ্টার, লিফলেট ছিড়ে ফেলে।

অপর দিকে মেম্বারপ্রার্থী সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছি। শনিবার সমর্থকদের নিয়ে নয়াবাড়ি থেকে উঠান বৈঠক শেষ করে রওনা হলে পথিমধ্যে পথরোধ করে প্রতিদ্ব›দ্বী মেম্বার প্রার্থী নুরে আলমের নেতৃত্বে হানিফ মেম্বার,বাবুল, জামাল, সবুজ,বেলায়েত, ও নুরজামান সহ ৪০-৫০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তার সমর্থক আজিজল,আবদুল মালেক,বসু ব্যাপারী,রাব্বি, নুরনবী,বেলায়েত,ঈমন,আজিজল ইসলাম, রহিম,কবির ও সোহেল আহত হন। আহতরা ভোলা ও দৌলতখান হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।

দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুইপক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে। এর মধ্যে নুরে আলম পক্ষের একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া অপর সেলিম  পক্ষের অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে। সত্যতা পেলে মামলা গ্রহণ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।