অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


লালমোহনে তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬শে আগস্ট ২০১৯ রাত ১১:০৭

remove_red_eye

৭৩৮

 

মোঃ জসিম জনি, লালমোহন : ভোলার লালমোহন গজারিয়ায় তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে প্রকাশ্যে। এক শ্রেণীর বালু ব্যবসায়ী ড্রেজার ভাড়া করে প্রতিনিয়ত নদী থেকে বালু তুলছে। এর ফলে গজারিয়া লঞ্চ ঘাট, কৃষি জমিসহ চরম হুমকির মুখে শতাধিক পরিবার।
সরেজমিনে জানা যায়, লালমোহন গজরিয়ার কুল ঘেঁষে যাওয়া তেঁতুলিয়া নদীর মাঝে ভেসে উঠা চর থেকে অবৈধ মুনাফা লোভি একশ্রেণীর বালু ব্যবসায়ী বালু উত্তোলনের কারণে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে গজারিয়া লঞ্চ ঘাট, মানুষের ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি। উত্তোলনকৃত বালু খালগোড়াতেই বিশাল স্তুপ করে রেখেছে। সেখান থেকে বিক্রি করা হয়। গজারিয়া বাজারের আব্দুর রহমান বেপারী, আকতার হোসেন, কামাল ও মামুন এরা বালুর ড্রেজার মালিকদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করছে। ড্রেজারগুলো পরিচালনা করছে লালমোহনের কয়েকজন প্রভাবশালী। প্রতিদিন কয়েকটি ড্রেজার ভাড়া করে নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করছে। ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তলনের ফলে গজারিয়া খালগোড়া লঞ্চঘাটটি বার বার ভেঙ্গে যাচ্ছে। খালগোড়া সড়ক ও বেড়িবাঁধও হুমকির মুখে। দিনে দিনে ভেঙ্গে নদীর বুকে চলে যাচ্ছে শতাধিক মানুষের আবাসস্থল।
খালগোড়ার কৃষক নুর ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এভাবে যদি আর ২ বছর বালু উত্তোলন করা হয় তাহলে চর ভেঙ্গে বেড়িবাঁধের সাথে এসে মিশবে তেঁতুলিয়া নদী। আমাদের কৃষিকাজের শেষ সম্ভলটুকু আর থাকবেনা। বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসরত কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আমাদের সহায় সম্বল নেই বিধায় বেড়িবাঁধের পাশে এসে ঘর বেধেছি স্ত্রী ও ছেলে সন্তান নিয়ে। এখন যদি এই জায়গাটুকুও ভেঙ্গে যায় তাহলে আমাদের মরে যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ থাকবেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য সরকারি সার্টিফিকেট ও সংশ্লিষ্ট থানার অনুমতিপত্র থাকতে হয়। কিন্তু বালু উত্তোলনকারীদের কাছে কিছুই নেই। এরা একদিকে সরকারকে ফাঁকি দিচ্ছে, অন্যদিকে সাধারন মানুষের কৃষি জমিসহ ঘরবাড়ি নষ্ট করছে।
এ ব্যাপারে বালু ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বেপারী বলেন, আমরা ড্রেজার থেকে বালু ক্রয় করে বিক্রি করছি। নিজেরা বালু উত্তোলন করছি না। ড্রেজারগুলো বালু উত্তোলন বন্ধ করলে আমরা আর ক্রয় করতে পারবো না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, তেঁতুলিয়া নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে শীগগিরই অভিযান দেওয়া হবে।