অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


বোরহানউদ্দিনে নাসিং অফিসারের ভুল চিকিৎসায় আঙুল হারালেন কৃষক


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭শে আগস্ট ২০১৯ রাত ১১:২২

remove_red_eye

৫৩৬

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলা বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে জরুরী বিভাগের নাসিং অফিসার ইমরান হোসাইন এর ভুল চিকিৎসায় বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙুল হারালেন পৌর ৩নং ওয়ার্ডের কৃষক মো: সালেম (৫০)।
পৌর ৩নং ওয়ার্ডের কৃষক মো: সালেম অভিযোগ করে বলেন, এক মাস পূর্বে কৃষি কাজ করার সময় কাচির সাথে বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের উপরের চামড়া কেটে পড়ে যায়। এ অবস্থায় বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসলে নার্সিং অফিসার ইমরান হোসাইন আমাকে লিখে দিয়ে ৪শত টাকার সুতা সহ ১৪ শত টাকা ঔষাধ বাহির থেকে কিনে আনতে বলেন। ঔষাধ নিয়ে আসলে ওই কাটা আঙুলে ৫/৬ টি সেলাই করেন। আঙুল থেকে চামড়া পড়ে গেলেও কেন সেলাই করা লাগবে এ কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন বেশি কথা বলা যাবে না। ওই ডাক্তার আমার কাছ থেকে ৩শত টাকা নিয়ে বলেন ১শত করে টাকা দিয়ে প্রতিদিন এসে ড্রেসিং করানো লাগবে। এরপর থেকে তার কাছে এসে ৫ দিন ড্রেসিং শেষে ডাক্তার কে বলি আমার আঙুল কালো হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আপনার আঙুলের আশা ছেড়ে দিতে হবে। এরপর অন্য ডাক্তারকে দেখালে তিনি বলেন আপনার আঙুল নষ্ট হয়ে গেছে কেটে ফেলতে হবে। এরপর অপারশনের মাধ্যমে আঙুলটি কেটে ফেলা হয়। প্রতিদিন ৫/৬ শত টাকার ঔষাধ লাগে। আমি গরিব মানুষ কৃষি কাজ করে সংসার চালাই। এ ডাক্তারের এমরান হোসাইন এর ভুল চিকিৎসায় আমার পরিবার এখন না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমি কোন কাজ করতে পারছি না। আমি এ ডাক্তারের তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আমার ক্ষতিপূরন দাবী করছি।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে অতি: দায়িত্ব থাকা নাসিং অফিসার ইমরান হোসাইন এর কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে তিনি আর আমার কাছে আসে নি।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের প:প: কর্মকর্তা ডা: জহিরুল ইসলাম শাহিন জানান, এ ঘটনাটি আমি শুনেছি।
এব্যাপারে ভোলা সিভিল সার্জন ডা: রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা