অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ই অক্টোবর ২০২১ রাত ১১:৩৭

remove_red_eye

৪১৫

 

 

 

 দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখানে এক স্কুল ছাত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

সূত্র জানায়, উপজেলার হাজিপুর মাধ্যমিক নবম শ্রেণরি ছাত্রী খাদিজা আক্তার মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটায় বসতঘর সংলগ্ন রান্নাঘরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সুরতহাল লিপিবদ্ধ শেষে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে  প্রথমে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। 

দৌলতখান থানার উপ পরিদর্শক বায়েজিদ নেওয়াজ জানান, ৯৯৯ নাম্বারে কল পেয়ে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কাঞ্চন মেম্বার বাড়ির সবুজের রান্নাঘর থেকে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত খাদিজা আক্তার সাথী (১৪) ওই বাড়ির মৎস্যজীবী সবুজের মেয়ে। 

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস আগ থেকে নিহত সাথীর সাথে একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মোসন বাজার সংলগ্ন কামালের ছেলে কলেজ পড়–য়া (উচ্চ মাধ্যমিক পাস) আল আমিনের (১৯) প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। আল আমিন মেয়েটিকে প্ররোচিত করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেত। গত সপ্তাহে আল আমিন তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। তারা গত শুক্রবার কামরাঙ্গির চরে বসবাসকারী আল আমিনদের পাসের বাড়ির মুকুলের বাসায় ওঠে। এ ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা আল আমিনকে আটক করলে মোটা অর্থের বিনিময়ে তাকে ছাড়িয়ে আনা হয়। এরপর আল আমিন নিরুদ্দেশ হলে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই ছাত্রী আত্ম হত্যা করে। এ ঘটনার পর আল আমিন এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছে। আল আমিনের পিতা মো: কামাল তার ছেলের এসব কাহিনী কিছুই জানতেন না বলে জানান।

নিহতের স্বজনদের দাবি আল আমিন তাকে বিয়ে না করে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে। দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমান জানান, ঘটনাটি প্রেমঘটিত আত্মহত্যা।  এ ব্যাপারে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।