অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে কার্ড থাকলেও চাল পাচ্ছেনা জেলেরা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯শে আগস্ট ২০১৯ রাত ১০:২০

remove_red_eye

৬৮৬

লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে জেলে কার্ড থাকার পরেও বছরের পর বছর ধরে চাল পাচ্ছে না অর্ধ শতাধিক জেলে। এমনকি এ কার্ড পেতেও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে জেলেদের। জানা যায়, উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের প্রায় অর্ধ শতাধিক জেলের কার্ড থাকা সত্তে¡ও তারা সরকারের বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না বছরের পর বছর ধরে।
ভূক্তভোগী জেলে ইউনুছ, সিরাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, রাজ্জাক, নাগর, শান্ত, ইব্রাহীম, ইসমাইল ও শাহে আলমসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালে আমরা জেলে কার্ড পাই। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত কোনা চাল পাইনি। অথচ আমাদের সাথের অন্য জেলেরা চাল পাচ্ছে। চাল বিতরণের সময় আমরা সেখানে গেলে বলা হয় তালিকায় আমাদের নাম নেই। তবে এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি চেয়ারম্যান। এমনকি এ কার্ড পেতে আমাদের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বশিরকে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। তবুও আমাদের ভাগ্যে জুটেনি সরকারি এসব চাল।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য বশিরের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়েও রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
রমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, জেলেদের কার্ড থাকতে পারে। তবে তালিকায় নাম না থাকলে তারা চাল পাবে না। ইউপি সদস্য বশিরের কার্ড বিতরণে টাকা নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, টাকা নেয় কিনা আমি জানি না। আর যদি নিয়েও থাকে তাহলে তা হয়তো উপজেলায় আসা-যাওয়ার খরচ বাবৎ নিতে পারে।
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস বলেন, যাদের জেলে কার্ড হয়েছে, তাদের তালিকায়ও নাম থাকবে। নাম ছাড়া কারও কার্ড হয়নি। এবং যাদের কার্ড রয়েছে তারা অবশ্যই চাল পাবে। আর যদি তারা চাল না পায় তাহলে সেটা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের যোগসাজশে অনিয়ম করা হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, সামনে জেলেদের চাল বিতরণের সময় আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভূক্তভোগী ওইসকল জেলেদের চাল পাওয়ার ব্যবস্থা করবো।