অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে ব্লকে রংয়ের কাজে অনিয়মের অভিযোগ


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২১ রাত ১০:০২

remove_red_eye

৪৯২



এম নয়ন, তজুমদ্দিন : ভোলার তজুমদ্দিনে শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের সাড়ে ছয় কি.মি এলাকায় প্রায় ৪৪ হাজার বøকে রঙ করনের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগে স্থানীয়রা অনিয়ম বন্ধ করে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করার দাবী জানিয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর আওতায় তজুমদ্দিনে শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে ৫৬/৫৭ নং পোল্ডারে প্রায় ৪৪ হাজার বøকে রং করনের কাজ পায় ন্যাশন টেক নামের একটি টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর প্রকৌশলীরা  কাজের তদারকী করার কথা থাকলেও কাজ বাস্তবায়নের সময় কেউ আসেন না। যারফলে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছে বলে অভিযোগ ওঠে।
সরেজমিন ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কাজটি শ্রমিকদের বøক প্রতি ৮ টাকা দরে প্রোডাকশনের ভিত্তিতে দেয়ায় তদারকী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোন দায়িত্বশীল কেউ থাকে না। এই সুযোগে শ্রমিকরা ময়লাযুক্ত বøকে রঙয়ের কাজ করে। এছাড়াও নিন্মমানের ব্রান্ডের রঙ ব্যবহার করলেও রঙয়ের সাথে ২০-৩০ ভাগ নদীর লবনাক্ত পানি মেশানো হয়েছে। বøকগুলেতে একবার রঙয়ের প্রলেপ দিয়ে কাজ শেষ করায় সামান্য ঘশা-মাজাতেই রঙ উঠে যেতে দেখা যায়। কাজের শ্রমিক সরবরাহকারী মোঃ ইব্রাহিম জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাউকে চিনি না। কাজটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এসও জহির বাস্তবায়ন করছেন। তার মাধ্যমেই কাজের বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২’র এসও জহির আল মামুন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বাস্তবায়ন করছে। এতে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। রংয়ের সাথে ২০-৩০ ভাগ পরিস্কার পানি মেশানো যায়। কাজে অনিয়মের বিষয়ে তিনি দাবী করেন, কিছু জায়গায় অনিয়ম হয়েছে। এটা ঠিক করে দেয়া হবে। অপরদিকে ডিভিশন-২’র নির্বাহি প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, রংয়ের সাথে পানি মেশানোর প্রশ্নই আসে না। এতে রঙয়ের গুনাগুন নষ্ট হয়। এধরনের অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।