অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে মেঘনার ভাঙনের মুখে তিনটি বিদ্যালয়


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২১ রাত ১০:০৭

remove_red_eye

৫৩০

 দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখানে হাজিপুর ইউনিয়নে মেঘনার ভাঙনের মুখে পড়েছে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । মধ্য-মেঘনায় অবস্থিত দ্বীপ ইউনিয়ন হাজিপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিদ্যালয় তিনটি। সহ¯্রাধিক পরিবারের প্রায় পাঁচ সহ¯্রাধিক মানুষ বসবাস করতেন ওই চর  ইউনিয়নে। ওই চরে ভূমিহীনদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সরকারি আবাসনের ৪২০ টি ঘর, ব্যক্তি পর্যায়ের পাঁচ শতাধিক ঘর ও তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়েকটি মসজিদ, একটি বাজার ও মাছ ঘাট গত ছয় মাসের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই ইউনিয়নের সর্বশেষ পাকা স্থাপনা ৫০ নং মধ্য হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্যপ্রতিষ্ঠিত তিনতলা ভবনটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ওই ভবনটি ২০২০ সালে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় নির্মিত হয়েছিল।
নদী ভাঙনে বিলীন হওয়া বিদ্যালয় তিনটি হচ্ছে, ৫০ নং মধ্য হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯৩ নং দক্ষিণ নলডুগি জাতীয়কৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০১ নং হাজিপুর জাতীয়কৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে ১০১ নং হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি টিনসেড হওয়ায় ওই বিদ্যালয় ভবনের মালামাল ও আসবাব পত্র সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। বাকি দুইটির পাকা ভবন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে। বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নদী ভাঙনের শিকার বিদ্যালয় তিনটি উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে অস্থায়ীভাবে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। বসার কয়েকটি ব্যাঞ্চ টেবিল থাকলেও শিক্ষার্থীবিহীন শিক্ষকরা বসে আছেন। ভাঙন পূর্ববর্তী কোন শিক্ষার্থীই বর্তমানে বিদ্যালয়ে না থাকলেও প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য এলাকায় হণ্যে হয়ে অ-ভর্তিকৃত ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থী খোঁজ করছেন। ১০১ নং হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরে আলম বাহাদুর বলেন, নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বিদ্যালয়গুলো স্থানান্তরিত হয়েছে। এ বছর শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলেও আগামী বছর বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী পেতে কোন সমস্যা হবেনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয় তিনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছি। শীঘ্রই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা পাওয়া যাবে।