অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে ব্যাংক কর্মচারীর পরকিয়া


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩১শে আগস্ট ২০২১ রাত ১২:১০

remove_red_eye

৫১৭


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলার তজুমদ্দিনে পরকিয়া প্রেম করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে লালমোহন শাখার ইসলামী ব্যাংক কর্মচারী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগে জনতার হাত থেকে ওই কর্মচারীকে জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নেয় একটি প্রভাবশালী মহল। এ ঘটনার বিচার দাবী করে সমাজপতিদের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন ওই নারীর স্বামী।
শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ আবুল কাশেম জানান, ২৪ আগস্ট রাত ৯টায় ফরাজি বাড়ির আঃ আলীর ঘরে অবৈধ কাজের সময় ছেলে- মেয়েকে বেঁধে রেখেছে এমন সংবাদে ঘটনাস্থলে যাই। এরপর আমির ফরাজি লোকজনসহ এসে আটক রাসেল ফরাজি(২৮) নামের ছেলেটিকে নিয়ে যায়। মানুষের ব্যাপক হট্টোগোল দেখে বিষয়টি থানায় জানাইলে পুলিশ আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, ফরাজি বাড়ির আঃ আলীর পুত্রবধূর সাথে রাসেল ফরাজির অনৈতিক কাজের সময় আশপাশের লোকজন ঘেরাও করে তাদের হাতেনাতে আটক করে।
ওই গৃহবধূর স্বামী মাওঃ সিরাজ পন্ডিত জানান, একবছর যাবৎ আমার স্ত্রী জানাতুল ফেরদৌসের সাথে পাশ্ববর্তী আলমগির ফরাজির ছেলে রাসেলের গোপন সম্পর্ক চলছে। এর আগেও তারা অনৈতিক কাজে ধরাপড়লে মানসম্মানের চিন্তা করে নিজেদের মাঝে মিমাংসা করে নেই। এপথ থেকে ফিরে আসার শপথ করে। এসব বিষয়ে আমার স্ত্রীর স্বজনদের কাছে প্রতিকার পাইনি বরং নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হয়। এখন জনসম্মুখে ধরা পড়ে আমার মান-ইজ্জত সব শেষ। কারো কাছে বিচার পাইনা। জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে জানতে চাইলে সে রাসেলের সাথে মোবাইলে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।
ইসলামী ব্যাংক লালমোহন শাখার ম্যানেজার মোঃ মুহিত জানান, ক্লিনার রাসেল ফরাজীর এমন একটি বিষয় আমাদের কাছে এসেছে, আমরা একটি টিম গঠন করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিব।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম জিয়াউল হক জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসআই শামীমের নেতৃত্বে পুলিশের টিম পাঠাই। কোন পক্ষ তাৎক্ষণিক মামলা দিতে রাজি না হওয়ায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।