অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে দিদারউল্ল্যাহ গ্রামে সামন্য বৃষ্টিতেই কাঁচা রাস্তায় হাঁটু জল পানি


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬শে আগস্ট ২০২১ রাত ০৮:৩০

remove_red_eye

৫৪৭

 

দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দিদারউল্ল্যাহ গ্রামের শাহাজল হাওলাদার বাড়ির সামনের কাঁচা রাস্তাটি সামন্য বৃষ্টি হলে হাঁটু জল পানিতে পরিণত হয়। এতে রাস্তায় চলাচলকারী মানুষদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। পানি ও কাদা মাড়িয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ গ্রামবাসীকে এ সড়কে চলাচল করতে হয়। এটি পাকা করার দাবি জানান স্থানীয়রা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন হাজার মানুষ প্রতিদিন এ কাঁচা মাটির রাস্তাটি ব্যবহার করে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটার। এখানে একটি কলেজ,মাদরাসা ও প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ অন্তত সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা ওই কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে দলিল উদ্দিন খায়েরহাট বাজার সংলগ্ন খাদিজা খানম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেরাজল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাকোপা আলিম মাদরাসা ও আলী আশরাফ মহাবিদ্যালয় যাতায়াত করে। যাতায়েতের সময়ে প্রায় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ জেলে ও কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। গ্রামের বাসিন্দা এবং ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সম্পাদক ষাটোর্ধ্ব শাহাজল হক বলেন, সামন্য বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় হাঁটু জল পানিতে পরিণত হয়। তখন রিকশা- ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে বাড়ি থেকে নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। প্রায় সময় নামাজ কাজা হচ্ছে। এলাকার সালাউদ্দিন বলেন, মাটির কাঁচা সড়কটি চার বছর ধরে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। পাঁচ বছর আগে কর্মসূচির কাজের মাধ্যমে রাস্তাটি সংস্কার করা হলেও এক বছরপর রাস্তাটি আগের মতন হয়ে যায়। বর্তমানে রাস্তাটিতে হাটুজল পানি রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। রাস্তাটি দ্রæত পাকা করার দাবী জানান তিনি। এব্যাপারে চরখলিফা ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ মুকু খাঁনকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এচই.এম আনসার বলেন, রাস্তার বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রস্তাব পাঠালে আমরা অনুমোদন দিবো। তখন দ্রæত কাজটি করা যাবে।