অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে ৩৮০ টাকার ঔষধ ১৮শত টাকায় বিক্রি


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩রা সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ০৯:৪৩

remove_red_eye

৬৩৪

লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে যত্রতত্র গড়ে ওঠেছে ফার্মেসী ব্যবসা। আর এতে নাম মাত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে ডাক্তার বনে গেছেন অনেকে। তাদের রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া অন্য জটিল কোনো চিকিৎসার বিধান না থাকলেও এসকল ডাক্তার বনে যাওয়া লোকরা নিজেদের জাহির করতে দিয়ে থাকেন বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা। আর এসকল কথিত ডাক্তাররা সুযোগ পেলেই রোগীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ম‚ল্যের চেয়ে অধিক টাকা হাতিয়ে নেন।
জানা যায়, গত সোমবার উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের কর্তারহাট এলাকার ফাতেমা (৪৫) নামের এক গৃহবধ‚ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই বাজারের হাওলাদার ফামির্সীতে চিকিৎসা নিতে আসে। তখন ওই ফামির্সীর মালিক মো. জাফর উল্যাহ তাকে একটি ডাইসিপিন ইনজেকশন করেন। এর সাথে আরও দুইটি ওষুধ দেন তিনি। গৃহবধ‚ ফাতেমার শরীরে ইনজেকশন প্রদানের পর ব্যাথা আরও বেড়ে যায়। গৃহবধ‚র কাছ থেকে ওই ইনজেকশনের দাম রাখা হয় ১৮ শত টাকা। তবে খবর নিয়ে জানা যায় যার বাজার ম‚ল্য মাত্র ৩৮০ টাকা। এ ঘটনায় ভ‚ক্তভোগী ফাতেমার এক আত্মীয় লালমোহন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরীর ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে।
অন্যদিকে প্রায় ২ মাস আগে ছিদ্দিকুর রহমান নামের এক রোগী দুর্ঘটনায় আহত হলে তার দাঁতের ইঞ্জুরী নিয়ে হাওলাদার মেডিক্যালে আসে। পরে তাকে ওই ফার্মিসী মালিক জাফর উল্যাহ দাঁতে ইনজেকশন করে। ওই ইনজেকশনের কারণে ছিদ্দিকুর রহমানের দাঁতে ইনফেকশন হয়। পরে তাকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে বরিশাল থেকে উন্নত চিকিৎসা নিতে হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ডাক্তার বনে যাওয়া জাফর উল্যাহ বলেন, আমি সরকারী দামে ওষুধ বিক্রয় করি। অন্যদিকে আমরা প্যারামেডিক্যাল প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সনদ রয়েছে তাই আমি সব ধরণের রোগীর চিকিৎসা ও ব্যবস্থা পত্র দিয়ে থাকি।
প্যারামেডিক্যালে প্রশিক্ষণ নেয়া কোনো ব্যক্তি এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কোনো রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে লালমোহন হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. মহসিন বলে, কোনো এমবিবিএস ডাক্তার ছাড়া কেউ কোনো রোগীকে এ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে পারবে না। এটা সম্প‚র্ণ বেআইনি।