অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার চাঞ্চল্যকর খুকুমনি হত্যার ৯ বছরেও বিচার হয়নি


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ০৯:৪৪

remove_red_eye

৯৪৬

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার বহুল আলোচিত খুকুমনি হত্যার ৯ বছরেও বিচার পায়নি তার পরিবার। উল্টো আসামীরা বিভিন্ন সময় হামলা, ভাংচুরসহ নিহতের পরিবারের সদস্যদেরকে মারধর করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। এদিকে কন্যা হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নিহত খুকুমনির অসহায় দিনমজুর পিতা শেখ ফরিদ সর্বশান্ত হয়ে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। শেখ ফরিদ জানান, এই মামলা চালাতে গিয়ে নি:স্ব এখন তার পরিবার।
শেখ ফরিদ জানান, আপন শ্যালকের ছেলে মানিক খুকুমনিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার স্বভাব চরিত্র ভাল নয় তা ছাড়া সে বিবাহিত বিধায় এই বিয়েতে তারা কেউ রাজি ছিলেন না। এ জন্য মানিক ২০০৯ সালের দিকে একদিন রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জোর করে খুকুমনিকে বিয়ে করেছিল। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের শুরু দিকে মানিকের সাথে ঝড়গা করে খুকুমনি বাড়ি চলে আসে। এর পর ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর রাতে মানিক বাড়ির অপর আসামীদের সাহায্যে খুকুমনিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় এবং গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেয়। ১৪ অক্টোবর ওই পুকুর থেকে খুকুমনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দীর্ঘ দিন পর মানিককে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি পুলিশ। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে।
গতকাল স্থানীয় পত্রিকা অফিসে এসে শেখ ফরিদ মিয়া কান্ন জড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ ৯ বছর পার হলেও খুকুমনি হত্যা মামলায় এখনো স্বাক্ষ গ্রহণ হয়নি। টাকার অভাবে তিনি সঠিকভাবে তদ্বির করতে পারছেন না বলে মামলার কোন অগ্রগতি নেই। তিনি অভিযোগ করেন, আসামীদের ইন্দনে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার উদ্দেশ্যে ময়নাতদন্তে খুকুমনির হত্যাকাÐকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। পরে আদালতের নির্দেশে ৬ মাস পর কবর থেকে লাশ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে পুলিশ আসামীদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে সংশ্লিষ্ট ৬ আসামীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তিন চার বছরের মাথায় মামলার প্রধান আসামী খুকুমনির স্বামী মানিক ছাড়া অপর সকল আসামী জামিনে বেরিয়ে আসে। তারা বেরিয়ে এসেই খুকুমনির বাবা মা ভাই বোনের উপর মাহলা করে। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করে। এক পর্যায়ে মামলার চার্জসিট থেকে তাদের নাম বাদ হয়ে যায়। এখন তাদের অত্যাচারে বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না। তিনি দ্রæত খুকুমনির হত্যার বিচার দাবি করেন।