অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় যৌতুকে না দেওয়ায় নববধুকে নির্যাতনের অভিযোগ


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ই জুলাই ২০২১ রাত ১০:০৮

remove_red_eye

৬৩০



মেহেদীর রং মুছে না  যেতেই তালাক

দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দরিদ্র কৃষক মফিজল হক বেপারির মেয়ে নববধু জান্নাত বেগমকে (১৮) শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামী, শ^শুর ও ননদের বিরুদ্ধে।

বিছানা থেকে উঠে বসতে অক্ষম নির্যাতিতা জান্নাত জানান, তার স্বামী হারুন, শ্বশুর আ: জলিল ও ননদ রুমা বেগম বিভিন্ন ছুতায় তাকে প্রায়ই মারধর করতো। গত কয়েকদিন আগে তার স্বামী হারুন বপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য বেধড়ক পিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে হারুন জান্নাতের পেটে সজোরে লাথি মারলে সে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। কোন চিকিৎসা ছাড়াই এর কয়েকেদিন পর হারুন জান্নাতকে তার বাপের বাড়ি রেখে চলে যায়। পরে জান্নাতকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেই থেকে জান্নাত বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াতে বা হাটতে পারছে না। পেটে প্রচন্ড যন্ত্রনায় সারাক্ষণ ছটফট করছে সে। মাত্র দুই মাস হলো বিয়ের বয়স। এখনো হাতে মেহেদির রংও মুছে যায়নি। এরই মধ্যে হারুন গত ৬ জুলাই ভোলার ২ নং ওয়ার্ডের একটি মেরিজ রেজিস্ট্রারের অফিস থেকে তালাকনামা নোটিশ পাঠায়। জান্নাতের বাবা মফিজল হক বেপারী জানান, মাত্র দুই মাস আগে সামাজিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে জান্নাতের বিয়ে দিয়েছিলেন বোরহান উদ্দিন উপজেলার রামকেসব গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে মো: হারুনের সাথে। গত রোজার ঈদের পর জান্নাতকে তার স্বামী হারুন ঢাকায় নিয়ে যায়। মুদী ব্যবসায়ী হারুন তার ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পাঁচ লাখ টাকা  এনে দিতে উপর্যুপরি জান্নাতকে চাপ দিতে থাকে।  সামাজিক প্রথা অনুযায়ী মেয়ের জামাইকে বার আনা স্বর্ণের একটি চেইন ও চার আনা স্বর্ণের একটি আংটি উপঢৌকন দেয়া হয়। দাবি মেটাতে জামাইয়ের চার ভগ্নিপতিকে পোশাকের জন্য বিশ হাজার টাকা দেয়া হয়। এর পরও পাঁচ লাখ টাকা না পেয়ে মেয়ের ওপর নির্যাতন করতে থাকে। আর হারুনকে এসব করতে তার ভগ্নিপতি জাহিদ প্ররোচনা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হারুনকে তার মোবাইল ফোনে ০১৭৮২৯৮১৬৩৫ নাম্বারে বার বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো।