অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


বোরহানউদ্দিনে বিধি-বহির্ভূত বৈধ প্রার্থী ঘোষণা ও নয়-ছয় করে ইউপি প্রার্থীকে হারানোর অভিযোগ


বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৬ই জুলাই ২০২১ রাত ০৯:১৫

remove_red_eye

১৪১৫


বোরহানউদ্দিন  প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিনে প্রথম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গঙ্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় নাম না থাকা সত্তে¡ও রিটানিং অফিসার মো. শহিদুল্যাহ কতৃক বিধি-বহির্ভূত বৈধ প্রার্থী ঘোষণা ও প্রিজাইডিং অফিসার আবু বকর সিদ্দিকের দ্বারা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নয়-ছয় করে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী নিলা আলমকে ১০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ করেছেন আরেক প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মো. ফখরুল আলম। মঙ্গলবার স্থানীয় রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে  মো. ফখরুল আলম ওই অভিযোগ করেন। এছাড়া তিনি  ভোট গণনার পর প্রিজাইডিং অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট আরো তিন দপ্তরে পূর্ণ:গণনার লিখিত আবেদন জানিয়ে নূন্যতম জবাব না পাওয়ারও অভিযোগ করেন।
লিখিত ও প্রশ্নোত্তরে উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের দুই নাম্বার ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী  মো. ফখরুল আলম জানান, আমি গত দুই মেয়াদে বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হই। এ মেয়াদেও মোরগ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করি। গত ৩ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল ঘোষণা করা হয়। টাকা দাখিলের পর নির্বাচন অফিস থেকে সরবরাহ করা ৪ মার্চ  প্রকাশিত চুড়ান্ত ভোটার তালিকায়(সিডি)প্রতিদ্বন্ধি প্রাথী নীলা আলমের কোথাও নাম নেই। বরং তাঁর নাম ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের ৪৮৪ নাম্বার ক্রমিকে যার ভোটার নাম্বার     ০৯০৩১০২১০৭৯৫। দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরও রিটানিং অফিসার মো. শহিদুল্যাহ তাঁকে ২ নাম্বার ওয়ার্ডে  ইউপি সদস্য পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করেন।
এছাড়া গত ২১ জুন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে গণনাকালে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু বকর সিদ্দিক প্রতিকের উপর সীলবিহীণ ব্যালট, প্রতিকের বাইরে সীলযুক্ত ব্যালট এবং নির্বাচন কার্যে ব্যবহার না হওয়া একটি বিশেষ সীলের ব্যালট পেপার আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর প্রতিকের বান্ডেলের সাথে যোগ করেন। আমি প্রতিবাদ করলে, তিনি তাতে কর্ণপাত না করে উল্টো আমাকে গণনা কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে তিনি ভোট গণনা করে আমার টিউবয়েল প্রতিকের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী নীলা আলমকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এতে আমার সমর্থকরা ক্ষোভে  ফেটে পরলে আমি প্রিজাইডিং অফিসারকে বারবার ভোট পূণর্:গণনার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি তাতে সাঁড়া না দিয়ে দ্রæত কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
মো. ফখরুল আলম আরো জানান, এর পরদিন ২২ জুন আমি রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল্যার কাছে পূণর্:গণনার লিখিত আবেদন করি। ৭-৮ দিন অপেক্ষা করেও ওই অফিস থেকে কোন জবাব না পাওয়ায় পর ৩০ জুন জেলা নির্বাচন অফিসারের দপ্তরে একই দাবিতে লিখিত আবেদন করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন দপ্তর থেকে কোনরুপ জবাব মেলেনি।
এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ওই প্রার্থীর উপস্থিতিতে  ভোট গণনা করার পর ওই প্রার্থীসহ সকল প্রার্থী অথবা তাঁেদর প্রতিনিধিদের ফলাফল সীটে স্বাক্ষর নিয়ে ফলাফল ঘোষণার  মো. ফখরুল ইসলাম ভোট গণনার দাবি করেন। এখানে কারো পক্ষপাতিত্বের প্রশ্নই আসেনা।   
রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন  কর্মকর্তা মো. শহিদুল্যাহ জানান, নিলা আলম ২ নাম্বার ওয়ার্ডেরই ভোটার। কেউ তাঁর স্বাক্ষর জাল করে ৪ নাম্বার ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করে। বিষয়টি গোচরে আসার পর নিলা আলম আবেদন করে নিজ স্থানে চলে যায়। চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় না থাকলেও নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে আছে। নমিনেশন পেপার দাখিলের আগে ওই প্রার্থীকে সম্পূরক ভোটার তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। পূণ:গণনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা ট্রাইবুনালে মামলা করলে ট্রাইবুনালের বিচারক সিদ্ধান্ত দিবেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আলাউদ্দিন আল মামুন জানান, পূর্ণ:গণনার বিষয় নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মামলা করলে ওই ট্রাইবুনাল যা সিদ্ধান্ত দিবে তা-ই বাস্তবায়ন হবে।