অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভল্ট থেকে টাকা উধাও: কারাগারে ঢাকা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ই জুন ২০২১ রাত ১০:৩২

remove_red_eye

৫৭৫

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে পৌনে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা হলেন- ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার সিনিয়র অফিসার ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হক এবং ম্যানেজার (অপারেশন) এমরান আহম্মেদ।

বিকেলে বংশাল থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার সরকার ৫৪ ধারায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ব্যাংকের ভল্টের টাকার দায়িত্বে ছিলেন। ভল্টের চাবি তাদের কাছেই ছিল। বৃহস্পতিবার ব্যাংকের অডিট টিম অডিট করার সময় ব্যাংকের ভল্টে থাকা ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার হিসাবে গরমিল পান। ব্যাংকের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে অডিট টিম টাকা গড়মিলের স্টেটমেন্ট দাখিল করেন। তখন আবু বক্কর সিদ্দিক অডিট টিমের স্টেটমেন্টের ভিত্তিতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আসামিরা তাৎক্ষণিকভাবে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, ম্যানেজার তখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অডিট টিমের সহায়তায় আসামিদের আটক করেন। আসামিদের থানায় হাজির করে আবু বক্কর সিদ্দিক বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। ওসি পর্যালোচনা করে দেখতে পান অভিযোগটি দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অপরাধ, যা তদন্তের ক্ষমতা দুর্নীতি দমন কমিশনের শিডিউলভুক্ত। দুদক ঘটনার তদন্তের ব্যবস্থা করবে।

এ অবস্থায় আসামিদের আটক করে আদালতে না পাঠালে তারা পালিয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগকারীর অভিযোগসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুদককে অবহিত করা হয়েছে।

দুদক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আগে পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন প্রদীপ কুমার সরকার।

আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক নিবেদন মতে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামী ২১ জুন জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।

 





আরও...