বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ০৯:২৯
৯৯৬
বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক || ভোলার লালমোহন উপজেলার সোনলী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোঃ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন অভিযোগের পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভোলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী ফারহানা আলম তানিয়া (২৮)।
গত ৪ আগস্ট ভোলা সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তার স্বামী সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। গিয়াস উদ্দিন ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিন চর আনন্দ গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে ও লালমোহন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ।
এদিকে, আদালত গত ২০ আগস্ট ওই মামলার গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট জারি করলেও পুলিশ এখন আসমিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার না করায় সে স্ত্রী ফারহানা আলম তানিয়াকে মামলা তুলে দিতে নানানভাবে প্রাণ নাশকের হুমকী দিয়ে আসছে।
অন্যদিকে মামলা দায়ের করে চড়ম বিপাকে পড়েছে ওই গৃহবধূ। স্বামী ও তার ক্যাডার বাহিনীর দেওয়া প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশকের হুমকীর ভয়ে নিরাপত্তাহীন হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গৃহবধূ ফারহানা আলম তানিয়া।
গৃহবধূ ফারহানা আলম তানিয়া জানান, লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার চর আলেক ডেন্ডার গ্রামের মোঃ মোরশেদ আলম নামে এক স্কুল শিক্ষকের মেয়ে তিনি। নিজ গ্রামের থেকে এইচএসসি পাশ করার পর ২০০৮ ভোলার শহরের পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের কালিনাথ রায়ের বাজার এলাকায় নানা বাড়ি থেকে ভোলা সরকারি কলেজে ডিগ্রীতে ভর্তি হন। একই কলেজে তার স্বামী গিয়াস উদ্দিন অনার্সে পড়াশুনা করার সুবাদে তাদের দেখা হয়। এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে মাসে কৌশনে গিয়াস উদ্দিন তাকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের কিছু দিন পর গিয়াসের তান্ডব শুরু হয়। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকে জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। পরিবারের অমতে বিয়ে করায় প্রথমে সে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে রাজি না হওয়ায়। গিয়াস উদ্দিন তাকে মারধর শুরু করে। পরে বাধ হয়ে তিনি তার বোনের কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা এনে দেয়। এর কিছুন দিন পর গিয়াস উদ্দিন ঢাকায় বিসিএস পরীক্ষার দেওয়ার খরচের টাকা জন্য আবারও চাপ প্রায়গ করে। টাকা আনতে রাজি না হওয়ায় তাকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করতো। পরে সে তার বাবার কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা এনে দেয়। এর কিছুন দিন পর গিয়াস উদ্দিন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদে চাকরি জন্য ঘুষ লাগবে । এ জন্য তার বাবার কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা এনে দিতে বলে। পরে গৃহবধূ সব ভূলে স্বামীর চাকরির জন্য তার বাবার কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা এনে দেয়। পরে গিয়াস উদ্দিনের ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদে চাকরি হয়। প্রথমে সে তজুমদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের কর্মরত ছিলেন। ওই সময় সে অর্থ কেলেংকারিতে জরিয়ে পরায় তাকে ওই উপজেলার মলমচোড়া ইউনিয়নে পরিষদের বদলি হয়। সেখানে কিছু দিন চাকরি করার পর সে সোনালী ব্যাংকের চাকরির জন্য আবেদন করেন। ওই সময় সোনালী ব্যাকে চাকরি জন্য তার বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা আবারও এনে দেওয়া জন্য চাপ দেয়। এতে সে রাজী না হলে তাকে একাধিকবার নির্যাতন করতে থাকে। ঘরে বেঁধে রাখে। আবার মারধর করে। চাকরির জন্য ওই কর্মস্থলে চলে গেলে ১৫/২০ দিন তার সাথে কোন যোগাযোগ করেন না। এতে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এনজিও ও স্থানীয়দেও কাছ থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা সুদে টাকা ধার নিয়ে গিয়াসের হাতে ওই টাকা তুলে দেন তিনি।
তিনি আরো জানান, গিয়াস উদ্দিনের সোনালী ব্যাংকে চাকরি হলে ওই ঋন ও সুদে ধার নেওয়া পরিশোধের জন্য তাকে বললে সে আমাকে বলে ওই টাকা আমি পরিশোধ করতে পারবোনা। তোর বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে পরিশোধ কর। আমি তার এ কথার প্রতিবাদ করলে সে আমাকে রট দিয়ে মারধর করে। এবং রান্না ঘর থেকে দাঁ দিয়ে আমাকে জবাই করে খুন করার চেস্টা করলে আমি দৌড়ে পালিয়ে যাই। পরে আমি ভয়তে তাকে আর টাকা পরিশোধের কথা বলিনি। আমি সেলাই কাজ করে ও একটি এনজিওতে চাকরি করে ওই টাকা পরিশোধের চেস্টা করতে থাকে।
সাম্প্রতিক গিয়াস আবারও নতুন কৌশলে বাড়ি করার কথা বলে আমার বাবার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা এনে দিতে বলে। আমি তার কথা রাজি না হলে সে আমার মারধর করে। এবং ছেড়ে দিবে বলে হুমকী দিয়ে বাড়ি থেকে চলে লালমোহন সোনালী ব্যাংকের চাকরিতে চলে যায়। আগে বৃহস্পতিবার আসতো রবিবার সকালে চলে যেত। ওই ঘটনার পর থেকে ১ মাসেও আসেনি। অনেকবার ফোন করলেও সে রিসিভ করেনি। পরে আমি বাধ্য হয়ে তার সাথে কথা বলতে সোনালী ব্যাংক লালমোহন শাখায় গেলে সে আমাকে দেখে ব্যাংকের দারোয়ান দিয়ে টেনে হেচড়ে একটি রুমে বন্ধ করে রাখা। ওই সময় ওই ব্যাংকের গ্রহকরা বিষয়টি জানতে পারলে আমাকে ছেড়ে দিতে বলে গিয়াস পালিয়ে যায়।
তার নির্যাতন সইতে না পেরে আমি বাধ্য হয়ে গত ভোলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এরপর থেকে গিয়াস আমাকে মামলা তুলে দেওয়ার জন্য বলে। আর মামলা যদি তুলে না দেই তাহলে সে আমাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলতে বলে। এছাড়াও আমার ননদ ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন এবং গিয়াসের পোশা ক্যাডাররাও আমাকের প্রতিদিন হত্যার হুমকী দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি ভয়ে ও আতংঙ্কে পালিয়ে জীবন কাটাচ্ছি। এ অবস্থায় তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেম কামনা করলেন।
অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিনের সাথে তার ফোন নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সাংবাদিকের পরিচয় শুনে সে পরে কথা বলতে বলে ফোন বন্ধ করে দেয়। ফলে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভোলা মডেল থানার ওসি মোঃ ছগীর মিঞা জানান, আমরা আসামীকে গ্রেফতার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব দ্রæত তাকে গ্রেফতার করতে আমরা সক্ষম হবে।
বিদায়ী শিক্ষককে মাইক্রোবাসে বাড়ি পৌঁছে দিলেন শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা
ছাদখোলা বাসে সাবিনা-ঋতুপর্ণারা, চলছে বিজয় প্যারেড
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান : অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার আরো এক মামলা হাইকোর্টে বাতিল
নতুন ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন
তারেক রহমান-সালামের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল
৭ নভেম্বর ঘিরে ১০ দিনের কর্মসূচি বিএনপির
ভোলায় বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন
লালমোহনে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
লালমোহনে সংগঠনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে জামায়াতে ইসলামীর সভা
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত