অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


৮ দিন পর ফের দুই দফা ভূমিকম্প সিলেটে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই জুন ২০২১ রাত ১০:৩৩

remove_red_eye

৬০৮

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : আটদিন পর সিলেট আবার কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে। সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুই দফায় কেঁপে ওঠে এই পুণ্যভূমি।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী এতথ্য নিশ্চিত করেন।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২৯ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে প্রথমবার হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। পরে ৬টা ৩০ মিনিটে দ্বিতীয়বার কেঁপে ওঠে সিলেট। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৮। এর উৎপত্তিস্থল সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকায়। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ১৮৮ কিলোমিটার বলে জানা গেছে।

ঢাকা আবহাওয়ায় অধিদফতর এবং ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুমিনুল ইসলাম জানান, ৬টা ২৯ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৮। তিনি বলেন, দুইবার ঝাঁকুনি অনুভব হলেও এটি একই ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি হিসেবেই ধরে নেয়া হচ্ছে।

এক মিনিটের মধ্যে পরপর দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় সিলেটের মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। এসময় নগরের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার এলাকার লোকজন বহুতল ভবন ও মার্কেট থেকে হুড়োহুড়ি করে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। অনেকেই আবার দিগ্বিবিক ছোটাছুটি করা শুরু করেন। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে সর্বশেষ গত ৩০ মে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওইদিন ভোর ৪টা ৩৫ মিনিট ৭ সেকেন্ডে দুই দশমিক ৮ মাত্রার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়।

 

তার আগের দিন অর্থাৎ ২৯ মে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের একদিনে চার দফা ভূ-কম্পন অনুভূত হয় সিলেটে। এর উৎপত্তিস্থল সিলেটের জৈন্তাপুর ও এর আশপাশে ছিল।

এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একই এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ২০২০ সালের এপ্রিলে সিলেট অঞ্চলে আরেকটা ভূমিকম্প হয়। এগুলো ছোটমাত্রার ভূমিকম্প ছিল।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুমিনুল ইসলামের মতে, সিলেট অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে। বিশেষ করে তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশ।

এদিকে ২৯ মে ভূমিকম্পের পর সিলেট নগরের পনিটুলার দুটি বহুতল ভবনে হেলে পড়েছে। ২৯ ও ৩০ মে পাঁচ দফা ভূকম্পনের পর নগরের ৬টি ঝুকিপূর্ণ মার্কেট ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেয় সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এই মার্কেটগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।





আরও...